প্রশ্ন
আমার দাদা খাবার নিয়ে পরিবারের লোকদের সাথে রাগ করেন। রাগের এক পর্যায়ে বলে বসেন, আমি যদি আর কোনো দিন গরুর গোশত খাই তাহলে শুকরের গোশত খাই। আমার প্রশ্ন হল, শরিয়তের দৃষ্টিতে এ কথার বিধান কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নোক্ত বর্ণনানুযায়ী যদি এ কথার দ্বারা আপনার দাদার এ উদ্দেশ্য হয়ে থাকে যে, শুকর যেমন হারাম, তার উপর গরুর গোশত তেমন হারাম। তাহলে এ কথার দ্বারা কসম সংঘটিত হয়ে যাবে। পরবর্তীতে তিনি যদি গরুর গোশত খান তাহলে তার কসম ভঙ্গ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে কসমের কাফফারা দিতে হবে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُوا أَيْمَانَكُمْ
‘সুতরাং এর কাফফারা হল দশ জন মিসকীনকে খাবার দান করা, মধ্যম ধরনের খাবার, যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের বস্ত্র দান, কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্ত করা। অতঃপর যে সামর্থ্য রাখে না তবে তিন দিন সিয়াম পালন করা। এটা তোমাদের কসমের কাফফারা, যদি তোমরা কসম কর, আর তোমরা তোমাদের কসম হেফাযত কর।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৮৯]
আর এই উদ্দেশ্য না থাকে, এমনিতেই বলে থাকেন তাহলে এর দ্বারা কোনো কসম সংঘটিত হবে না। বরং অহেতুক একটি কথা হবে। তবে ভবিষ্যতে এ জাতীয় কথা বলে বিরত থাকতে হবে।
রদ্দুল মুহতার ৫/৫৮০; আল বাহরুর রায়েক ৪/৪৮৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم