প্রশ্ন
কেউ যদি রোজা অবস্থায় বিদআত করে তাহলে তার রোজা কবুল হবে কিনা?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইবাদত কবুল হওয়ার পূর্ব শর্ত হল, তা বিদআতমুক্ত হতে হবে। হাদিস শরিফে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ
‘যে আমাদের দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু প্রবর্তন করে যা এর অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৬৯৭; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৭১৮]
আরেক হাদিসে এসেছে রাসূল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন,
تَرَكْتُهُ وَشِرْكَهُ
‘আমি তাকে ও তার শিরকী কাজকে প্রত্যাখ্যান করি।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৯৮৫]
সুতরাং আমল কবুল হওয়ার জন্য আমাদেরকে বিদআত বর্জন করতে হবে। তবে বিদআতের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হল, হাদিসে রাসূল (সা.) বলেছেন, فِي أَمْرِنَا । এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, في شريعتنا অর্থাৎ শরিয়তের ক্ষেত্রে বিদআত করা। যেমন মাগরিবের নামাজ ৩ রাকাত। কেউ যদি এক রাকাত বাড়িয়ে পড়ে তাহলে তা বিদআত হবে। তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই ইবাদত হতে হবে বিদআতমুক্ত। আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم