প্রশ্ন
রোজার মাধ্যমে আমরা কিভাবে দুর্নীতি ও অপরাধমুক্ত জীবন গঠন করতে পারি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মানুষের উপর যত আজাব গজব আসে সবই তাদের কৃতকর্মের দরূন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন,
وَمَا أَصَابَكُمْ مِنْ مُصِيبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ
‘তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তাতো তোমাদেরই কৃতকর্মের ফল।’ [সূরা শুরা, আয়াত: ৩০]
অন্য আরেকটি আয়াতে এসেছে,
ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِي النَّاسِ لِيُذِيقَهُمْ بَعْضَ الَّذِي عَمِلُوا لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ
‘মানুষের কৃতকর্মের কারণে সমুদ্রে ও স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে তাদেরকে কোন কোন কর্মের শাস্তি তিনি আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে।’ [সূরা রূম, আয়াত: ৪১]
সুতরাং বর্তমানে গোটা মানবতার উপর যে জুলুম, নিপীড়ন ও নৃশংসতা চলছে যদি তা বন্ধ না হয় তাহলে এই আজাব গজব আমাদের উপর আসতেই থাকবে।
তাই আমাদের উচিৎ হল, আমাদের চোখ, হাত-পাসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আল্লাহর বিধানের আলোকে পরিচালিত করা। কেননা, আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেছেন,
إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا
‘নিশ্চয় কান, চোখ ও অন্তকরণ- এদের প্রতিটির ব্যাপারে সে জিজ্ঞাসিত হবে।’ [সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত: ৩৬]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم