প্রশ্ন
আমার স্বামী যখন কোনো বিপদে পড়েন তখন কখনো কখনো একথা বলে ফেলেন, আল্লাহ একজন আছেন বলে আমি বিশ্বাস করি না। থাকলে আমার এত বিপদ হত না। আমি জানতে চাচ্ছি, তার এ কথার দ্বারা আমাদের বৈবাহিক জীবনে কোনো সমস্যা হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আল্লাহর অস্তিত্বের ব্যাপারে সন্দেহ করলে ঈমান চলে যায়। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
‘যে ঈমান আনার পর আল্লাহর সাথে কুফরী করেছে এবং যারা তাদের অন্তর কুফরী দ্বারা উন্মুক্ত করেছে, তাদের উপরই আল্লাহর ক্রোধ এবং তাদের জন্য রয়েছে মহা আযাব। ঐ ব্যক্তি ছাড়া যাকে বাধ্য করা হয় (কুফরী করতে) অথচ তার অন্তর থাকে ঈমানে পরিতৃপ্ত।’ [সূরা নাহল, আয়াত: ১০৬]
ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক স্বামী বা স্ত্রীর কোনো একজন যদি কাফের হয়ে যায় তাহলে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। হাদিস শরিফে এসেছে,
عن عطاء، في الرجل والمرأة يكونان مشركين فيسلمان، قال: يثبت نكاحهما، فإن أسلم أحدهما قبل الآخر انقطع ما بينهما
‘যদি তারা একসাথে ইসলাম গ্রহণ করে তাহলে তাদের বিবাহ বহাল থাকবে। আর যদি একজন অপরজনের আগে ইসলাম গ্রহণ করে তাহলে তাদের পারস্পরিক বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস: ১৮৪০০]
আপনার স্বামী যেহেতু আল্লাহর অস্তিত্বের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছে, তাই আপনার স্বামী কাফের হয়ে গিয়েছে। ফলে আপনাদের পারস্পরিক বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার স্বামী যদি পুনরায় কালেমা পড়ে মুসলমান হয়ে যায় তাহলে শুধু নতুন করে বিবাহ করে নিলেই আপনারা সংসার করতে পারবেন। অন্যথায় আপনার স্বামীর সাথে সংসার করা আপনার জন্য বৈধ হবে না।
রদ্দুল মুহতার ৪/৩৬৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم