প্রশ্ন
আমি সেদিন ইউটিউবে একজন বক্তাকে বলতে শুনলাম, আজানের দোয়ার শেষ অংশ إِنّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ -টি সহিহ সনদে বর্ণিত নেই। তাই আজানের দোয়ায় এই অংশটি পড়া যাবে না। আমি জানতে চাচ্ছি, উক্ত অংশটি কি আসলেই সহিহ সনদে বর্ণিত নেই?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আজানের দোয়ায় إِنّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ যে অংশটি পড়া হয় তা সহিহ সনদে বর্ণিত আছে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
مَن قال حينَ يَسمَعُ النِّداءَ: اللَّهُمَّ إنِّي أسأَلُكَ بحَقِّ هَذِه الدَّعوَةِ التّامَّةِ والصَّلاةِ القائمَةِ، آتِ محمدًا الوَسيلَةَ والفَضيلَةَ، وابعَثْه المَقامَ المَحمودَ الذي وعَدتَه؛ إنَّكَ لا تُخلِفُ الميعادَ. إلا حَلَّت له شفاعَتِى
‘যে ব্যক্তি আজান শুনলে এই দোয়া পড়বে, আল্লাহুম্মা রাব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাহ, ওয়াস-সালাতিল কায়িমাহ, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাহ, ওয়াবআছহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়া আদ্তাহ, ইন্নাকালা তুখলিফুল মিআদ (হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের রব্ব! মুহাম্মাদ (সা.)-কে ওসীলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফযীলত তথা সকল সৃষ্টির উপর অতিরিক্ত মর্যাদা দান করুন। আর তাঁকে মাকামে মাহমূদে পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন। নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না।)। তার জন্য কেয়ামতের দিন আমার শাফায়াত ওয়াজিব হবে।’ [সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদিস: ১৯৫৪]
এই হাদিসের একজন রাবী হলেন মুহাম্মাদ ইবনে আওফ। তার সম্পর্কে কতক মুহাদ্দিস সমালোচনা করলেও বড় বড় মুহাদ্দিসগণ তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। তন্মধ্যে ইমাম নাসাঈ (রহ.), ইমাম মাসলামা (রহ.), ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। [তাহযীবুল কামাল ১৭/১২৮]
কাজেই উক্ত অংশটি সহিহ সনদেই বর্ণিত। সুতরাং কোনো বিষয়ে পরিপূর্ণভাবে না জেনে জনসম্মুখে প্রচার না করাটাই বাঞ্ছনীয়।
ফাতহুল বারী ২/৯৫; উমদাতুল কারী ৫/১২৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم