প্রশ্ন
আমি একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ তাআলার জন্য আমল করার চেষ্টা করি। কিন্তু তারপরও মাঝে মাঝে রিয়া চলে আসে। আমি জানতে চাচ্ছি, আমলের ক্ষেত্রে রিয়া থেকে কিভাবে আমি বাঁচতে পারব?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আমলের ক্ষেত্রে রিয়া থেকে বাঁচার জন্যে আল্লাহ তাআলার কাছে বেশি বেশি করে দোয়া করতে হবে। অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। বিশেষ করে রাসূল (সা.) একটি দোয়া শিখিয়ে গিয়েছেন, সেই দোয়া বেশি বেশি পড়তে হবে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
أَيُّهَا النَّاسُ؛ اتَّقُوا الشِّرْكَ، فَإِنَّهُ أَخْفَى مِنْ دَبِيبِ النَّمْلِ، فَقَالَ مَنْ شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ: وَكَيْفَ نَتَّقِيهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَهُوَ أَخْفَى مِنْ دَبِيبِ النَّمْلِ؟ قَالَ: قُولُوا: اللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ أَنْ نُشْرِكَ بِكَ شَيْئًا نعلَمُهُ، وَنَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا نَعْلَمُ
‘হে লোক সকল, শিরককে ভয় কর, কারণ এটি পিঁপড়ার চুপিসারে চলার চেয়েও গুপ্ত। যারা আল্লাহ চেয়েছিলেন জিজ্ঞাসা করল, আমরা কিভাবে এ থেকে বেঁচে থাকব যদি তা পিঁপড়ার চলার চেয়েও গুপ্ত হয়, ইয়া রাসূলাল্লাহ? তিনি বললেন, বল! আল্লাহুম্মা ইন্না নাউযুবিকা আন নুশরিকা বিকা শাইআন না’লামুহু, ওয়া নাসতাগফিরুকা লিমা লা না’লামুহু (হে আল্লাহ, আমরা জেনে বুঝে শিরকে লিপ্ত হওয়া থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি, আর আমরা না জেনে শিরকে পতিত হওয়ার ব্যাপারে আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি।)।’ [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৯৬০৬]
উমর (রা.) তার দোয়ায় বলতেন,
اللهم اجعل عملي صالحاً، واجعله لك خالصاً، ولا تجعل لأحدٍ فيه شيئاً
‘আল্লাহুম্মাজআল আমালী সালীহান, ওয়াজআলহু লাকা খালিসান, ওয়ালা তাজআল লিআহাদিন ফিহি শাইয়ান।’ [আযযুহদ, ইমাম আহমাদ, পৃ. ৯৭]
আমরা দোয়া করি, আল্লাহ তাআলা আপনাকেসহ আমাদের সকলকে রিয়ামুক্ত আমল করার তাওফিক দান করুন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم