প্রশ্ন
রাসূলগণের প্রতি পরিপূর্ণভাবে ঈমান আনার ক্ষেত্রে কয়টি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখা জরুরি। যেমন,
১. এই বিশ্বাস রাখা যে, আল্লাহ তাআলা সকল সম্প্রদায়ের কাছে তাদের মধ্য হতে একজনকে রাসূল করে পাঠিয়েছেন। তিনি তাদেরকে আল্লাহর ইবাদত করা ও গাইরুল্লাহর ইবাদত বর্জন করার প্রতি দাওয়াত দিয়েছেন। তারা সকলেই সত্যবাদী। তাদের সকলের দাওয়াতের মূল বিষয় একটিই ছিল, আর তা হল, গাইরুল্লাহর ইবাদত বর্জন এবং এক আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করা। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
‘আর তোমার পূর্বে এমন কোন রাসূল আমি পাঠাইনি যার প্রতি আমি এই ওহী নাযিল করিনি যে, ‘আমি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; সুতরাং তোমরা আমার ইবাদাত কর।’ [সূরা আম্বীয়া, আয়াত: ২৫]
২. কুরআন ও হাদিস থেকে যে রাসূলগণের নাম জানা গিয়েছে, সে নামগুলোর প্রতি বিশ্বাস রাখা। আর যাদের নাম জানা যায়নি, তাদের উপর সমষ্টিগতভাবে ঈমান রাখা। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
‘আর অবশ্যই আমি তোমার পূর্বে অনেক রাসূল পাঠিয়েছি। তাদের মধ্যে কারো কারো কাহিনী আমি তোমার কাছে বর্ণনা করেছি আর কারো কারো কাহিনী তোমার কাছে বর্ণনা করিনি।’ [সূরা গাফির, আয়াত: ৭৮]
৩. এই বিশ্বাস রাখা যে, রাসূল (সা.) সর্বশেষ নবি। তারপর আর কোনো নবি আসবে না। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
‘মুহাম্মাদ তোমাদের কোন পুরুষের পিতা নয়; তবে আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী। আর আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞ।’ [সূরা আহযাব, আয়াত: ৪০]
৪. সহিহ বর্ণনার মাধ্যমে রাসূলগণের ব্যাপারে যে সকল বিষয় জানা গিয়েছে সেগুলোর উপর বিশ্বাস রাখা।
৫. রাসূল (সা.) যে শরিয়ত নিয়ে আমাদের কাছে এসেছেন, সে শরিয়ত অনুযায়ী আমল করা। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
‘অতএব তোমার রবের কসম, তারা মুমিন হবে না যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক নির্ধারণ করে, তারপর তুমি যে ফয়সালা দেবে সে ব্যাপারে নিজদের অন্তরে কোন দ্বিধা অনুভব না করে এবং পূর্ণ সম্মতিতে মেনে নেয়।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ৬৫]
আলামুস সুন্নাহ আল মানশুরা পৃ. ৯৭-১০২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم