প্রশ্ন
আমি বাংলা হাদিস গ্রন্থসমূহ পড়ে থাকি। আমি একটি বিষয় জানতে চাই। হাদিসে জিবরীল- এ ঈমানের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনা। আমার প্রশ্ন হল, কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান আনাকে রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনার আগে কেন আনা হল? এই প্রাধান্য কেন দেওয়া হয়েছে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হাদিসটির নির্বাচিত অংশ হল,
أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ
‘ঈমান হল আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান আনবে, আর তাকদিরের ভালমন্দের প্রতি ঈমান রাখবে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১]
কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান আনকে রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনার উপর প্রাধান্য দেওয়ার কারণ সম্পর্কে আল্লামা ত্বীবী (রহ.) তার কিতাবে লিখেন,
وإنما قدم ذكر الملك على الكتاب والرسل: اتباعا للترتيب الواقع، فإنه (سبحانه وتعالى) أرسل الملك، بالكتاب، إلى الرسول
‘ফেরেশতাকে কিতাব ও রাসূলদের আগে উল্লেখ করা হয়েছে বাস্তবতার সাথে মিল রেখে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাকে কিতাব দিয়ে রাসূলের কাছে পাঠিয়েছেন।’ [শরহুল মিশকাত ২/৪২৫]
আল্লাহ তাআলা তাঁর ওহী ফেরেশতাদের মাধ্যমেই রাসূলগণের কাছে পাঠিয়ে থাকেন। আর আল্লাহর ওহীই হল তাঁর কিতাব। এ কারণেই হাদিসে আগে ফেরেশতাদের কথা বলা হয়েছে। তারপর কিতাব, তারপর রাসূলগণের উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে মনে রাখতে হবে, এটি সূক্ষ্ম জ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত একটি বিষয়। আকীদা সম্পর্কিত কোনো বিষয় এর উপর নির্ভরশীল নয়। তাই সাধারণদের জন্য এগুলো নিয়ে পড়ে না থেকে আমলের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা উচিৎ।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم