প্রশ্ন
আমার উপর হজ ফরজ। কিন্তু আমার স্বামীর উপর হজ ফরজ নয়। এবছর আমার পিতা-মাতা হজে যাবে। আমার ইচ্ছা আমি বাবা-মার সাথে এ বছর হজে যাব। কিন্তু আমার স্বামী আমাকে অনুমতি দিচ্ছেন না। তিনি বলেছেন তার যখন সামর্থ্য হবে তখন তার সাথে যেতে। এখন আমার করনীয় কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হজ শরীয়তের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। তাই হজ করার অন্যান্য সামর্থ্য থাকার পাশাপাশি নারীর জন্য মাহরামের ব্যবস্থা হয়ে গেলে অনতিবিলম্বে হজ্ব আদায় করা চাই।
عَنْ إِبْرَاهِيمَ ، قَالَ : إِذَا كَانَتِ الْفَرِيضَةُ ، وَكَانَ لَهَا مَحْرَمٌ ، فَلاَ بَأْسَ أَنْ تَخْرُجَ ، وَلاَ تَسْتَأْذِنَ زَوْجَهَا
‘ইবরাহীম (রহ.) বলেন: যদি ফরজ হজ্ব হয় এবং মাহরাম থাকে তাহলে স্বামীর অনুমতি ছাড়া হজ্বে যেতে সমস্যা নেই।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস: ১৪৩৯৩]
স্বামীর জন্য স্ত্রীকে হজে যেতে বাধা দেয়া ঠিক নয়। স্বামী বাধা দিলে তাকে বুঝিয়ে বলুন। যথাসম্ভব চেষ্টা করুন তার সম্মতি নিয়ে হজে যেতে, যেনো একে কেন্দ্র করে দাম্পত্য কলহ না হয়।
কোনভাবেই যদি স্বামী রাজি না হন তাহলে দাম্পত্যকলহ এড়ানোর জন্য স্বামীর পরিবারের মুরব্বিদেরকে জানিয়ে মাহরাম পুরুষের সাথে ফরজ হজে যাওয়ার অবকাশ আছে। অবশ্য কোনো কোনো ফকীহের মতানুযায়ী প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে পরবর্তীতে স্বামীর সাথেই হজে যাওয়া উচিৎ।
আমাদের সমাজ ব্যবস্থার বিবেচনায়, দাম্পত্যকলহ এড়ানোর জন্য এই মতটি গ্রহণ করা যেতে পারে।
এই অনুযায়ী আপনার স্বামী যখন অনুমতি দিবে কেবল তখনি আপনি হজে যাবেন।
বাদায়েউস সানায়ে ২/৩০০, আল বাহরুর রায়েক ২/৫৫২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم