প্রশ্ন
অনেক অভিভাবক সার্টিফিকেটে সন্তানের বয়স কমিয়ে দেয়। পরবর্তীতে চাকরির সময় এর কারণে কয়েক বছর বেশি চাকরি করতে পারে এবং বেশি সুযোগ লাভ করতে পারে। আমার প্রশ্ন হল, প্রকৃত বয়সের চেয়ে যত বছর বাড়িয়ে দিয়েছে তত বছর চাকরির কারণে যে বেতন পাবে তা কি বৈধ হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মিথ্যা একটি মারাত্মক গুনাহ। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন-
عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلَاثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ
‘মুনাফিকের আলামত তিনটি। কথা বললে মিথ্যা বলে। ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে এবং আমানত রাখলে খেয়ানত করে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৩]
তবে কেউ যদি এভাবে মিথ্যা লেখেও ফেলে কিন্তু যথাযথভাবে অতিরিক্ত বছরগুলোতে দায়িত্ব পালন করে থাকে তাহলে তার বেতন হারাম হবে না।
অবশ্য এ ধরনের ক্ষেত্রে এক বার মিথ্যা লিখলে সারা জীবন মিথ্যা লিখতে হয়। ফলে সারা জীবন মিথ্যার গুনাহ হতে থাকে। তাই চেষ্টা করতে হবে, এটাকে কোনভাবে সংশোধন করা যায় কি না। এর আগ পর্যন্ত তাওব ও ইস্তেগফার জারি রাখতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم