প্রশ্ন
আমি জানি, রমজানের শেষ দশ দিন ইতেকাফ করতে হলে ২০ রমজান দিবাগত রাতে মাগরিবের পূর্বে মসজিদে উপস্থিত হতে হয়। কিন্তু এ বছর কোন কারণে আমি ২০ রমজান দিবাগত রাতে মাগরিবের পূর্বে মসজিদে যেতে পারিনি। তাই আমি ২১ রমজান দিনের বেলায় মসজিদে গিয়ে ইতেকাফ করা শুরু করি। এতে কি আমার ইতেকাফ আদায় হবে? আমি কি ইতেকাফ বাদ দিয়ে দিব?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইতেকাফের কয়েক প্রকার রয়েছে। এক প্রকার ইতেকাফ হল সুন্নত ইতেকাফ। আরেক প্রকার ইতেকাফ হল নফল ইতেকাফ। আরেক প্রকার ইতেকাফ হল ওয়াজিব ইতেকাফ। রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করা সুন্নত। হাদিস শরিফে এসেছে,
أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الْأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللَّهُ
‘রাসূল (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করতেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০২৬]
সুন্নত ইতেকাফের ফযিলত লাভ করার জন্য ২০ রমজানের দিবাগত রাতে মাগরিবের পূর্বে মসজিদে উপস্থিত হতে হয়। কেউ যদি এ সময়ের মধ্যে ইতেকাফের স্থানে উপস্থিত হতে না পারে তাহলে তার সুন্নত ইতেকাফ আদায় হবে ন। তবে যতক্ষণ ইতেকাফের নিয়তে মসজিদে অবস্থান করবে ততক্ষণ নফল ইতেকাফ হিসেবে গণ্য হবে।
অবশ্য পরবর্তী দিনগুলোতে ইতেকাফ করলেও ইতেকাফের যে বিশেষ একটি লক্ষ্য আছে অর্থাৎ শবে কদর লাভ তা পাওয়ার আশা করা যায়। তাই ২০ রমজানের দিবাগত রাতে মাগরিবের পূর্বে ইতেকাফের স্থানে উপস্থিত হতে না পারলেও ইতেকাফ বাদ দেওয়া উচিৎ হবে না। কারণ এর মাধ্যমে নফল ইতেকাফ তো হবে এবং শবে কদরও লাভ হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم