প্রশ্ন
এক ব্যক্তি বলল, সহবাসের সময় ঘরের লাইট বন্ধ রাখতে হবে। যেন স্বামী স্ত্রী একে অপরের লজ্জাস্থান না দেখতে পারে। প্রশ্ন হলো, স্বামী স্ত্রী কি একে অপরের লজ্জাস্থান দেখতে পারে না? সহবাসের সময় কি লাইট বন্ধ রাখা জরুরি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
স্বামী স্ত্রী একে অপরের লজ্জাস্থান দেখতে পারে। শরিয়তের দৃষ্টিতে এতে কোনো সমস্যা নেই।
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ إِلَّا عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ
‘(সফল মু’মিন তারা) যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযতনা রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।’ [সূরা মু’মিনূন, আয়াত: ৫-৭]
হাদিস শরিফে এসেছে,
‘বাহয ইবনে হাকীম থেকে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল (সা.)-কে প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের ঢেকে রাখার অঙ্গসমূহ কার সামনে আবৃত রাখব এবং কার সামনে অনাবৃত করব? তিনি বলেন, তোমার স্ত্রী ও দাসী ব্যতীত সকলের সামনে তা আবৃত রাখ। বর্ণনাকারী বলেন, যতদূর সম্ভব কেউ যেন অন্যের গোপনাঙ্গের দিকে না তাকায়। বর্ণনাকারী বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল আমাদের কেউ যখন নির্জনে থাকে? তিনি বলেন, লজ্জার ব্যাপারে আল্লাহ মানুষের চেয়ে অধিক হকদার।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪০১৭]
হাদিসের ব্যাখ্যায় ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) বলেন,
‘তুমি তোমার স্ত্রী ছাড়া’ (إِلَّا مِنْ زَوْجَتِكَ)-এর দ্বারা বোঝা যায়, স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের গোপনাঙ্গের দিকে তাকানো জায়েয। যুক্তিও বলে, এটা জায়েয হবে।’ [ফাতহুল বারী ১/৩৮৬]
তাই স্বামী স্ত্রী একে অপরের লজ্জাস্থানের দিকে তাকাতে পারবে। আর সহবাসের সময় লাইট বন্ধ করাও জরুরি নয়। বরং এটি তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। তাই লাইট চালু রাখলেও কোনো সমস্যা নেই।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم