প্রশ্ন
আমার এক বন্ধু একবার কুরআন স্পর্শ করে মিথ্যা কথা বলল। অপর আরেকজন বলল, এতে নাকি তার ঈমান চলে গিয়েছে। প্রশ্ন হলো, আমার বন্ধুর কি আবার নতুন করে ঈমান আনতে হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মিথ্যা বলা মারাত্মক কবীরা গুনাহ। হাদিসে মিথ্যা কথা বলাকে মুনাফিকের আলামত বলা হয়েছে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلاَثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ
‘আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি:
১. যখন কথা বলে মিথ্যা বলে।
২. যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে।
৩. আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৩; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৯]
আর কুরআন হাতে নিয়ে মিথ্যা বলা তো অত্যন্ত গর্হিত কাজ।
হাদিস শরিফে এসেছে,
مَنْ حَلَفَ بِسُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ لَقِيَ اللَّهَ بِعَدَدِ آيِهَا خَطَايَا
‘যে ব্যক্তি কুরআন মাজিদের কোনো একটি সূরার কসম করবে সে ঐ সূরার প্রত্যেকটি আয়াতের বদলায় একটি করে গুনাহ নিয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস: ১২৩৬০]
তবে কবীরা গুনাহের কারণে ঈমান চলে যায় এমন কোনো দলিল কুরআন হাদিসে নেই। তাই কারো অন্তরে ঈমান থাকা অবস্থায় কবীরা গুনাহ করলে তার ঈমান চলে যায় না। তাই আপনার বন্ধুর পুনরায় ঈমান আনার প্রয়োজন নেই। তবে অবশ্যই আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে তওবা করতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ জাতীয় কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم