প্রশ্ন
আমার এক আত্মীয়ের সবসময় পেশাব ঝরতে থাকে। আমার প্রশ্ন হলো, তিনি নামাজের জন্য কিভাবে অজু করবেন?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
যে ব্যক্তির সর্বক্ষণ পেশাব ঝরতে থাকে সে শরিয়তের দৃষ্টিতে মাজুর। আর মাজুর ব্যক্তি প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজের জন্য অজু করবে। পেশাব ছাড়া অজু ভঙ্গের অন্য কোনো কারণ না পাওয়া গেলে সে ঐ অজু দ্বারা ঐ ওয়াক্তের মাঝে যত ইচ্ছা নামাজ পড়তে পারবে। ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে বা অজু ভঙ্গের কোনো কারণ পাওয়া গেলে অজু ভেঙ্গে যাবে। পুনরায় অজু করে নিতে হবে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ فِيهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ وَتَصُومُ وَتُصَلِّي
‘আদী ইবনে সাবিত (রহ.) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত আছে, রাসূল(সা.) ইস্তিহাযার রোগিণী সম্পর্কে বলেন, ইতোপূর্বে সে যে কয়দিন ঋতুবতী থাকত ততদিন নামায ছেড়ে দেবে; অতঃপর গোসল করবে এবং প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্তে নতুন করে অজু করবে এবং রোযা রাখবে ও নামায আদায় করবে।’ [সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ১২৬]
ইস্তেহাজাগ্রস্থ নারীও শরিয়তের দৃষ্টিতে মাজুর। তাই হাদিসে বর্ণিত বিধানটি সকল মাজুরদের জন্য প্রযোজ্য।
সুতরাং আপনার আত্মীয়ের জন্য করণীয় হলো, প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য অজু করে নেওয়া।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم