প্রশ্ন
আমার উপর স্ত্রীর মহর আবশ্যক হয়ে আছে। বর্তমানে তা পরিশোধের সক্ষমতা আমার নেই। আবার আমি নেসাব পরিমাণ মালের মালিকও নই। এমতাবস্থায় আমি কি যাকাত খেতে পারব?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
স্ত্রীর মহর স্বামীর জিম্মায় ঋণ হিসেবে গণ্য হয়। সে হিসেবে আপনি বর্তমানে ঋণগ্রস্ত। পাশাপাশি আপনার যেহেতু নেসাব পরিমাণ মালও নেই, তাই আপনি যাকাতের খাত হিসেবে গণ্য হবেন এবং যাকাত খেতে পারবেন।
কুরআন মাজিদে এসেছে,
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِنَ اللَّهِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
‘নিশ্চয় সদাকা হচ্ছে ফকীর ও মিসকীনদের জন্য এবং এতে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য, আর যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য; (তা বণ্টন করা যায়) দাস আযাদ করার ক্ষেত্রে, ঋণগ্রস্তদের মধ্যে, আল্লাহর রাস্তায় এবং মুসাফিরদের মধ্যে। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।’ [সূরা তওবা, আয়াত: ৬০]
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ أُصِيبَ رَجُلٌ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ثِمَارٍ ابْتَاعَهَا فَكَثُرَ دَيْنُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَصَدَّقُوا عَلَيْهِ
‘আবু সাঈদখুদরী (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, এক লোক রাসূল (সা.)-এর যুগে ফল কিনে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে অনেক ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়ে। রাসূল (সা.) (লোকদের) বললেন, একে তোমরা দান-খায়রাত কর।’ [সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ৬৫৫]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم