প্রশ্ন
জুমার নামাজের ফযিলত কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
জুমার নামাজ পড়া ফরজ। জুমার নামাজের অনেক ফযিলত রয়েছে।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,
‘শুক্রবার দিন মসজিদের প্রতিটি দরজায় ফেরেশতারা অবস্থান করে এবং (জুমার নামাজের) আগমনকারীদের নাম ক্রমানূসারে লিপিবদ্ধ করতে থাকে। অতঃপর ইমাম যখন (মিম্বরে) বসেন, তারা লেখাগুলো গুটিয়ে নেয় এবং যিক্র (খুতবা) শোনার জন্য চলে আসে। মসজিদে যে আগে আসে, তার উদাহরণ সে ব্যাক্তির মত যে একটি উটনী কোরবানি করেছে। তার পরবর্তীজনের দৃষ্টান্ত তার মত যে একটি গাভী কোরবানি করেছে। তার পরবর্তীজনের দৃষ্টান্ত তার মত যে একটি ভেড়া কোরবানি করেছে এবং তার পরবর্তীজনের দৃষ্টান্ত তার মত যে একটি মুরগি দান করেছে। পরবর্তীজনের দৃষ্টান্ত তার মত যে একটি ডিম দান করেছে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২০২১]
আরক হাদিসে এসেছে,
‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে সকাল সকাল গোসল করল এবং গোসল করাল, তারপর ইমামের কাছে গিয়ে বসে চুপ করে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনল, প্রত্যেক কদমের বিনিময়ে সে এক বছরের রোজা ও নামাজের সওয়াব পাবে।’ [সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ৪৯৮]
অপর একটি হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন,
‘জুমার দিনে যে ব্যক্তি গোসল করে জুমার নামাজের জন্য যায় এবং সামর্থ্য অনুযায়ী নামাজ আদায় করে, এরপর ইমাম খুতবা শেষ করা পর্যন্ত নীরব থাকে। এরপর ইমামের সঙ্গে নামাজ আদায় করে। তবে তার এ জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং অতিরিক্ত আরও তিন দিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২০২৪]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم