প্রশ্ন
মক্কায় থাকাকালে রাসূল (সা.) এর উপর কি জিহাদ ফরজ ছিল?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
রাসূল (সা.) এর সুদীর্ঘ ২৩ বছরের নবুওয়াতের জীবনের ১৩ বছর মক্কায় ছিলেন। এই সময় আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁকে জিহাদের বিধান দেওয়া হয়নি। বরং এই প্রতিকূল পরিবেশে থেকে ধৈর্যের সাথে মানুষকে দ্বীনের প্রতি দাওয়াত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কাফেরদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের কষ্ট ভোগ করার পরও রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামগণ একনিষ্ঠভাবে দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে গিয়েছেন। মদীনায় হিজরতের পর কাফেরদের সাথে জিহাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন,
اُدۡعُ اِلٰی سَبِیۡلِ رَبِّکَ بِالۡحِکۡمَۃِ وَ الۡمَوۡعِظَۃِ الۡحَسَنَۃِ وَ جَادِلۡہُمۡ بِالَّتِیۡ ہِیَ اَحۡسَنُ ؕ اِنَّ رَبَّکَ ہُوَ اَعۡلَمُ بِمَنۡ ضَلَّ عَنۡ سَبِیۡلِہٖ وَ ہُوَ اَعۡلَمُ بِالۡمُہۡتَدِیۡنَ
‘তুমি তোমরা রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহবান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর। নিশ্চয় একমাত্র তোমার রবই জানেন কে তার পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়েছে এবং হিদায়াতপ্রাপ্তদের তিনি খুব ভাল করেই জানেন।’ [সূরা নাহল, আয়াত: ১২৫]
অন্য আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে,
اِدۡفَعۡ بِالَّتِیۡ ہِیَ اَحۡسَنُ السَّیِّئَۃَ ؕ نَحۡنُ اَعۡلَمُ بِمَا یَصِفُوۡنَ
‘মন্দের মুকাবিলা কর উত্তম দ্বারা, তারা যা বলে আমি সেই সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।’ [সূরা মুমিনুন, আয়াত: ৯৬]
আরেক আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে,
فَلَا تُطِعِ الۡکٰفِرِیۡنَ وَ جَاہِدۡہُمۡ بِہٖ جِہَادًا کَبِیۡرًا
‘সুতরাং তুমি কাফিরদের আনুগত্য করনা এবং তুমি কুরআনের সাহায্যে তাদের সাথে প্রবল সংগ্রাম চালিয়ে যাও।’ [সূরা ফুরকান, আয়াত: ৫২]
এ সব আয়াত থেকে বুঝা যায়, ইসলামের প্রাথমিক যামানা তথা মক্কায় অবস্থানকালে রাসূল (সা.)কে জিহাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়নি।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم