প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় এক মাযারে প্রতি বছর ওরশ হয়। মাযারের এক খাদেমের সাথে আমাদের ভাল সম্পর্ক থাকায় ওরশের জন্য প্রস্তুতকৃত খাবারের কিছু আমাদের বাসায় পাঠায়। আমার জানার বিষয় হলো, এ খাবার খাওয়া বৈধ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ওরশে বিভিন্ন ধরনের হারাম ও শিরকি কর্মকাণ্ড থাকার কারণে ওরশের আয়োজন ও তা পালন করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। সুতরাং ওরশ উপলক্ষ্যে যে খাবার প্রস্তুত করা হয়েছে তা খাওয়াও বৈধ হবে না।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন,
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
‘সৎকাজ ও তাক্বওয়ার ব্যাপারে তোমরা পরস্পরকে সহযোগিতা কর, পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ২]
হাদিস শরিফে এসেছে,
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ
‘যে আমাদের দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু প্রবর্তন করে যা এর অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৬৯৭; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৭১৮]
কাযী সানাউল্লাহ পানীপতী (রহ.) তাফসিরে মাযহারিতে লিখেছেন,
لا يجوز ما يفعله الجهال بقبور الأولياء والشهداء، من السجود والطواف حولها، واتخاذ السرج والمساجد عليها، ومن الاجتماع بعد الحول كالأعياد ويسمونه عرسا
‘মূর্খ লোকেরা ওলী ও শহিদদের কবরের সাথে যেসব আচরণ করে, যেমন একে সেজদা করা, প্রদক্ষিণ করা, আলোকসজ্জা করা, সেজদার স্থান বানানো, বছরান্তে সেখানে ঈদের মত সমবেত হওয়া, যাকে তারা ওরস বলে থাকে তা সম্পূর্ণ নাজায়েয।’ [তাফসীরে মাজহারী ২/৬৫]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم