প্রশ্ন
অনেক ওলী আল্লাহর মাযারে লোকেরা ওরশ পালন করে থাকে। অনেক লোকের সমাগম হয়। এ জাতীয় ওরশে অংশগ্রহণ করা যাবে কি? এ ব্যাপারে ইসলাম কী বলে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ওরশের আয়োজন ও তাতে অংশগ্রহণ কোনোটাই ইসলাম সমর্থন করে না। প্রচলিত ওরশে যে সকল কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে, সেগুলোর প্রত্যেকটাই হারাম। এমনকি বহু শিরকি কর্মকাণ্ড ওরশ উপলক্ষ্যে হয়ে থাকে। অথচ মাযারপন্থীরা এসকল কাজকে শুধু বৈধই মনে করে না, বরং আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম হিসেবে প্রচার করে থাকে (নাউযুবিল্লাহ)। যেখানে ইসলামি শরিয়তে হারামকে হালাল মনে করা কুফরি, সেখানে তারা শুধু হালালই মনে করছে না, বরং আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম হিসেবেও প্রচার করছে। এটা কত বড় জঘন্য কুফরি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সুতরাং ওরশ পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়েয।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন,
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا
‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না। তিনি ক্ষমা করেন এ ছাড়া অন্যান্য পাপ, যার জন্য তিনি চান। আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে অবশ্যই মহাপাপ রচনা করে।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ৪৮]
অন্য আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে,
ذلك الله ربكم له المك والذين تدعون من دونه ما يملكون من قطمير
‘তিনি আল্লাহ, তোমাদের রব, রাজত্ব একমাত্র তাঁর। আর তাঁর পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাক তারা তো খেজুর বিচির তুচ্ছ আবরণেরও মালিক নয়।’[সূরা ফাতির, আয়াত: ১৩]
রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: لا تجعلوا بيوتكم قبورا، ولا تجعلوا قبري عيدا، وصلوا علي فإن صلاتكم تبلغني حيث كنتم
‘আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা নিজেদের ঘরকে কবর বানিয়ো না। (অর্থাৎ কবরের মতো ইবাদত-বন্দেগী শূন্য করো না) এবং আমার কবরকে উৎসবের স্থান বানিয়ো না। বরং আমার প্রতি দরূদ পড়। কেননা তোমরা যেখানেই থাক না কেন তোমাদের দরূদ আমার নিকট পৌঁছবে।’[সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২০৪০]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم