প্রশ্ন
আমাদের মসজিদে প্রচলিত পদ্ধতি তথা ইয়া নাবি সালামু আলাইকা ইত্যাদি পড়ে মিলাদ পড়া হয়। অনেক সময় এরপর মিষ্টান্নও বিতরণ হয়। আমার জানার বিষয় হল, এই মিষ্টান্ন তথা তবারক খাওয়া কী বৈধ?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
বর্তমান সমাজে প্রচলিত যে মিলাদ-কিয়াম রয়েছে তা বিদআত ও শরিয়ত বিরোধী কাজ। কারণ, রাসূল (সা.) এর যুগ, সাহাবিদের যুগ, তাবেয়িন ও তাবে-তাবেয়িনের যুগ অর্থাৎ খাইরুল কুরূনে এর কোন অস্তিত্ব ছিল না।
রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ
‘যে আমাদের দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু প্রবর্তন করে যা এর অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৬৯৭; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৭১৮]
যেহেতু প্রচলিত মিলাদ একটি বিদআতি কাজ, তাই সেই মিলাদকে কেন্দ্র করে খাবার-দাবারের আয়োজন করা কিংবা তাতে শরীক হওয়া কোনো ভাবেই উচিত হবে না।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন,
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
‘সৎকাজ ও তাক্বওয়ার ব্যাপারে তোমরা পরস্পরকে সহযোগিতা কর, পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ২]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم