প্রশ্ন
ইসলামে ধর্ষণের শাস্তি কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইসলামে ধর্ষণের শাস্তি খুবই কঠিন। কারণ ধর্ষণ মূলত যিনারই একটি প্রকার। তাই যিনার ক্ষেত্রে যে সকল শাস্তি কার্যকর হয় ধর্ষণের মধ্যেও সে সকল শাস্তি কার্যকর হবে। অর্থ্যাৎ কোনো অবিবাহিত পুরুষ যদি ধর্ষণ করে তাকে একশত বেত্রাঘাত করা হবে। আর বিবাহিত কোনো পুরুষ ধর্ষণ করলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
উপরন্তু ধর্ষণের মধ্যে যেহেতু অন্যের উপর বলপ্রয়োগ করা হয়, অন্যের ইজ্জত-আব্রু নষ্ট করা হয় সেহেতু ইসলামী আইনজ্ঞদের কেউ কেউ বলেন, এ ক্ষেত্রে মুহারাবার শাস্তিও প্রদান করা হবে।
মুহারাবা বলা হয় ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ডাকাতি করা। মালেকি মাজহাবের বিখ্যাত ফকীহ ইবনুল আরাবী সম্ভ্রম লুট করার বিষয়টিকেও মুহরাবার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তবে পৃথিবীতে অনাচার ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাকে সব ফকীহই মুহারাবার অন্তর্ভুক্ত মনে করেন।
আর মুহারাবার শাস্তি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে বলেন-
إِنَّمَا جَزَاءُ الَّذِينَ يُحَارِبُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَسْعَوْنَ فِي الْأَرْضِ فَسَادًا أَن يُقَتَّلُوا أَوْ يُصَلَّبُوا أَوْ تُقَطَّعَ أَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُم مِّنْ خِلَافٍ أَوْ يُنفَوْا مِنَ الْأَرْضِ ذَٰلِكَ لَهُمْ خِزْيٌ فِي الدُّنْيَا وَلَهُمْ فِي الْآخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ
‘যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।’ [সূরা মায়িদা, আয়াত: ৩৩)
আততাশরীয়ুল জিনাইয়্যুল ইসলামী ২/৩৭৯-৩৮৫
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم