প্রশ্ন
জেহাদ ও সন্ত্রাসবাদ বা অন্যান্য যুদ্ধের মাঝে পার্থক্য কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
জেহাদ ও সন্ত্রাসবাদ কখনো এক নয়। জেহাদ একটি ইবাদত। এর রয়েছে কিছু মহান উদ্দেশ্য। পক্ষান্তরে সন্ত্রাসবাদ বা অন্যান্য যুদ্ধ কখনো ইবাদত নয়। বরং তা হারাম কাজ। নিম্নে ইসলামের জেহাদ এবং অন্যদের লড়াইয়ের মধ্যে কিছু র্পাথক্য তুলে ধরা হলো:
১.অন্যান্য যুদ্ধ হয় ব্যক্তিগত বা রাষ্ট্রীয় স্বার্থসিদ্ধির জন্য। পক্ষান্তরে জেহাদ হয় আল্লাহর জন্য।
২.অন্যান্য যুদ্ধ হয় মানুষের উপর নির্যাতন চালানোর জন্য। পক্ষান্তরে জেহাদ হয় ন্যায় ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য।
৩.অন্যান্য যুদ্ধের উদ্দেশ্য হয় সাম্রাজ্য বিস্তার করা। অপর দিকে জেহাদের উদ্দেশ্য হয় ভূমিকে তার আসল হকদারের নিকট প্রত্যার্পণ করা।
৪.অন্যান্য যুদ্ধ হয় হীন উদ্দেশ্যে নিরপরাধ মানুষের জান-মাল, ইজ্জত-আব্রুর উপর আঘাত হানার জন্য। পক্ষান্তরে ইসলামের জেহাদ শুধু তাদের সাথেই হয়ে থাকে যারা নিজেদের অপরাধের কারণে হত্যাযোগ্য হয়ে গেছে।
৫.অন্যান্য যুদ্ধ সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য মৃত্যু ও বিভীষিকার নামান্তর। পক্ষান্তরে ইসলামের জেহাদ সমাজকে দান করে নিরাপত্তাময় নবজীবন।
৬.অন্যান্য যুদ্ধ লাগামহীন হত্যাযজ্ঞের নাম অপরদিকে জেহাদের জন্য রয়েছে বহু শর্ত, বহু বিধি-নিষেধ এবং নির্ধারিত সীমারেখা।
মোটকথা, ইসলামের জেহাদ এবং অন্যদের যুদ্ধ ও সন্ত্রাসবাদের মধ্যে রয়েছে বহু পার্থক্য। তাই তো কোনো নিরপরাধ মানুষকে বোমা মেরে, গুলি করে হত্যা করে জেহাদ বলা হয় না। সেটা কখনো জেহাদ নয়। বরং তা সন্ত্রাস। আর ইসলাম সন্ত্রাসবাদকে কিছুতেই সমর্থন করে না। বরং কঠোর হস্তে তা দমন করার নির্দেশ দেয়।
মুকাদ্দিমাতু কিতাবুল জিহাদ, পৃ. ২৪
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم