প্রশ্ন
আমার বাবার উপর হজ্ব ফরয ছিল। তাই তিনি হজ্বের ইরাদা করেন। কিন্তু হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। এভাবে দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ায় আব্বা সুস্থ হওয়ার ব্যাপারে নিরাশ হয়ে আমাদেরকে বদলী হজ্ব করার ওসিয়ত করেন। এ ঘটনার কিছুদিন পরই আব্বা ইন্তিকাল করেন। আব্বার রেখে যাওয়া সমস্ত সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ প্রায় ৩,৬০,০০০/- (দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকার মত হয়। কিন্তু এ টাকা দিয়ে বর্তমানে কাউকে হজ্বে পাঠানো যাচ্ছে না। তাই এ বিষয়ে আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে আলোচনা করলে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কেউ যদি স্বেচ্ছায় এ টাকার সাথে আর (বাকি) সামান্য টাকা নিজে বহন করে বদলী হজ্ব করে তাহলেও হয়ে যাবে। এ আলোচনার সময় ইমাম সাহেবের সাথে কয়েকজন ব্যক্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন এ কথা শুনে এগিয়ে এসে নিজ থেকেই বলে যে, আপনি যদি ৩,৬০,০০০/- টাকা দেন তাহলে বাকি টাকা দিয়ে আমি আপনার বাবার বদলী হজ্ব করতে পারি। এখন আমরা জানতে চাচ্ছি, উক্ত আলেমের কথা অনুযায়ী ঐ ব্যক্তি যদি বাকি টাকা নিজ থেকে দিয়ে হজ্ব করেন তাহলে কি আমার বাবার ফরয হজ্ব আদায় হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
হ্যাঁ, ঐ ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় বাকি টাকা দিয়ে আপনার বাবার পক্ষ থেকে হজ্ব আদায় করে তাহলে আপনার বাবার বদলী হজ্ব আদায় হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য যে, বর্তমানে ৩,৬০,০০০/- টাকাতেও কোনো কোনো এজেন্সি হজ্ব নিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে তারা সুযোগ-সুবিধা কম দিয়ে থাকে। আর হজ্বের মূল খরচ (রেজি. ফি, টিকেট ও মুআল্লিম ফি ইত্যাদি) তো এ টাকার মধ্যেই হয়ে যায়। তাই আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ বদলীকারী দিলেও কোনো সমস্যা নেই।
-আলমাবসূত, সারাখসী ৪/১৪৭; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/৪৩০; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩১১; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৬০; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া ১/২৮৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم