প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় অনেক পরিবারে দেখি যে, পরিবারের কেউ বৃদ্ধ হওয়ার কারণে রোযা রাখতে না পারলে রমযান মাসে মাদরাসা থেকে একজন দরিদ্র ছাত্রকে লজিং রাখে। তাকে ভোররাতে ও সন্ধারাতে খাবার খাওয়ায়। আমার জানার বিষয় হল, বৃদ্ধ হওয়ার কারণে রোযা রাখতে অক্ষম হলে কী করবে? আর উপরোক্ত পদ্ধতিতে খাবার খাওয়ানোর দ্বারা রোযার ফিদয়া কি আদায় হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
অতিশয় বৃদ্ধ হওয়ার কারণে কোনো ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখতে অক্ষম হয়ে পড়লে প্রতিদিনের রোযার পরিবর্তে পূর্ণ খাবার খেতে পারে এমন একজন দরিদ্রকে দু’বেলা খাবার খাওয়াবে। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বৃদ্ধ হওয়ার পর এক-দু’বছর রোযা রাখতে পারেননি। এবং প্রতি রোযার পরিবর্তে একজন মিসকিনকে গোশত-রুটি খাইয়েছেন। (মুসনাদে আবদ ইবনে হুমাইদ- ফাতহুল বারি ৮/২৮)
ছাত্র লজিং রেখে ফিদয়া আদায়ের পদ্ধতি ঠিক আছে। তবে এক্ষেত্রে ছাত্রটি যেন খুব ছোট বয়সের না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
-ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়্যা ১/২২২; কিতাবুল হুজ্জাহ আলা আহলিল মাদীনাহ ১/২৫৪; ফাতহুল কাদীর ২/২৭৭; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২০৩; আলবাহরুর রায়েক ২/২৮৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم