প্রশ্ন
দেশের আইন অনুযায়ী পাবলিক (সরকারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হলে তিনি অবসর গ্রহণ করবেন। এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেটে উল্লেখিত জন্ম তারিখ হতে বয়স হিসাব করা হয়। এক ব্যক্তি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এসএসসি পরিক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করার সময় তার মামা (যিনি ঐ স্কুলের শিক্ষক ছিলেন) নিজের থেকেই তার একটা জন্ম তারিখ বসিয়ে দেন। সেই অনুযায়ী এসএসসি সার্টিফিকেটে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ আছে। পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তি তার মরহুম পিতার নোট বুকে তার জন্ম তারিখ লিখিত দেখেন। সেই অনুযায়ী এসএসসি সার্টিফিকেটে যদি তার সঠিক জন্ম তারিখ থাকত তবে তাকে ৩ বছর পূর্বে অবসরে যেতে হত। তিনি যদি ইচ্ছা করেন তবে তার সঠিক জন্ম তারিখ অনুযায়ী ৩ বছর পূর্বে অবসরে যেতে পারেন। এ বিভাগে শিক্ষক পদের সংখ্যা নির্দিষ্ট। তিনি অবসরে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় তার বিভাগে একজন নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারবে। অবসরে না যাওয়া পর্যন্ত ঐ পদে কোনো নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারবে না। এমতাবস্থায় এসএসসি সার্টিফিকেটে উল্লেখিত জন্ম তারিখ হিসাবে তার ৬৫ বছর পর্যন্ত চাকরি করা জায়েয হবে কি না?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
যেহেতু এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেটে উল্লেখিত জন্ম তারিখ অনুযায়ী চাকরির বয়সের হিসাব করা হয় তাই কোনো ব্যক্তি (সার্টিফিকেট অনুযায়ী) চাকরির শেষ সময় পর্যন্ত চাকরির সামর্থ্য রাখলে এবং অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারলে যতদিন তাকে চাকরিতে রাখা হবে তার উপার্জিত অর্থ হালাল হবে। কিন্তু দায়িত্ব পালনের সামর্থ্য না থাকলে চাকরিতে বহাল থাকা জায়েয হবে না।
উল্লেখ্য, রেজিস্ট্রেশনের সময় বয়স কম লেখা মিথ্যা ও ধোঁকার অন্তর্ভুক্ত। এ কারণে পরবর্তী জীবনে এ মিথ্যা লিখতে ও বলতে হয়। তাই রেজিস্ট্রেশনে কারো বয়স কম লেখা হয়ে থাকলে তার উচিত পরবর্তীতে তা এফিডেভিট করে শুদ্ধ করিয়ে নেওয়া।
-মাজমুআতুল ফাতাওয়াশ শারইয়্যাহ ৩/২১০; আলমাবসূত, সারাখসী ৩০/২১১
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم