প্রশ্ন
অনেককে দেখা যায়, আকীকা করার পর বাড়িতে বাড়িতে গোশত পাঠিয়ে দেয়। আবার অনেকে দাওয়াত করে খাওয়ায়। দুই পদ্ধতির কোনটি উত্তম?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
আকীকা করার পর তার গোশত রান্না করে খাওয়ানো যায়। আবার শুধু গোশত হাদিয়াও দেওয়া যায়। তবে সাধারণ অবস্থায় গোশত হাদিয়া দেওয়ার চেয়ে রান্না করে খাওয়ানো উত্তম। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) আকীকার গোশতের হুকুম বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন-
تُجْعَلُ جُدُولاً، فَيُطْبَخُ، فَيَأْكُلُ وَيُطْعِمُ.
টুকরো টুকরো করে কেটে রান্না করে নিজে খাবে এবং খাওয়াবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, বর্ণনা: ২৪৭৪৪)
ইমাম নববী (রাহ.) বলেন-
قال جمهور أصحابنا يستحب أن لا يتصدق بلحمها نيا بل يطبخه.
মুস্তাহাব হল আকীকার গোশত কাঁচা সদকা করবে না; বরং তা রান্না করে খাওয়াবে। (আল মাজমূ ৮/৪১০)
ইবনে কুদামা (রাহ.) বলেন-
وإن طبخها، ودعا إخوانه فأكلوها، فحسن.
আকীকার গোশত রান্না করে ভাই-বেরাদার (আত্মীয়-স্বজনকে) দাওয়াত করে খাওয়ানো উত্তম। -আল মুগনী ১৩/৪০০
প্রকাশ থাকে যে, বর্তমানে বিভিন্ন দাওয়াতের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আকীকার দাওয়াতেও বেগানা নারী-পুরুষের একসাথে খাওয়া, একই স্থানে বসা এবং উপঢৌকন দেওয়া-নেওয়ার আয়োজন করা হয়। আবার অনেক জায়গায় এটিকে জরুরিও বানিয়ে ফেলা হয়েছে। অথচ এসবই শরীয়তে নিষিদ্ধ। তাই দাওয়াত করে আকীকার গোশত খাওয়াতে চাইলে শরীয়তে নিষিদ্ধ এমন সব কাজ থেকে দাওয়াতের অনুষ্ঠানকে মুক্ত রাখতে হবে।
-এলাউস সুনান ১৭/১২০; তানকীহুল ফাতাওয়াল হামিদিয়্যা ২/২৩৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم