প্রশ্ন
গত রমযানে সকালে জরুরি এক কাজে দেশের বাড়ি পাবনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। দুপুর ১টার দিকে গাড়ি সিরাজগঞ্জে হোটেলে বিরতি দেয়। তখন মাথায় চিন্তা আসল যে, আমি তো এখন মুসাফির। আর সফর অবস্থায় তো রোযা না রাখারও অনুমতি রয়েছে। কিছুটা ক্লান্তিও লাগছিল। তাই বিষয়টি চিন্তা করে রোযা ভেঙে ফেললাম। পাবনায় পৌঁছার পর যখন আমার মামাকে উক্ত ঘটনা শোনালাম। তখন তিনি বললেন, রোযা রাখার পর তা ভেঙে ফেলা জায়েয নেই। এখন তোমাকে উক্ত রোযার কাযা-কাফফারা উভয়টিই আদায় করতে হবে। তার এই কথা শোনার পর থেকে আমি বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত। তাই এখন হুজুরের কাছে জানতে চাচ্ছি যে, আসলে সেই রোযার জরিমানাস্বরূপ এখন আমার করণীয় কী?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
সফর অবস্থায় রোযা না রেখে পরে তা কাযা করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু রোযা রেখে দিলে শুধু সফরের ওজরের কারণে তা ভেঙে ফেলা জায়েয হয়ে যায় না। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার জন্য উক্ত রোযা ভেঙে ফেলা ঠিক হয়নি। এখন উক্ত রোযার কাযা করে নিতে হবে। কাফফারা লাগবে না। এক্ষেত্রে কাফফারা লাগার কথা ঠিক নয়।
-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ৭৭৬৬; আলমাবসূত, সারাখসী ৩/৬৮; ফাতহুল কাদীর ২/২৮৪; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৫৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৫৭; রদ্দুল মুহতার ২/৪৩১
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم