প্রশ্ন
একদিন আমি মাদরাসায় একাকী ফযরের নামায পড়ছিলাম। সেখানে দু’জন ছাত্র এসে আমার পিছেনে ইকতেদা করে। আমি একাকী নামায আদায়কারী ব্যক্তি যেভাবে নামায পড়ে সেভাবেই নামায শেষ করি। নামায শেষে এদের একজন বলল, আপনার জন্য উচ্চ স্বরে কিরাত পড়া জরুরি ছিল। প্রশ্ন হল, এক্ষেত্রে সঠিক নিয়মটা কী? কেউ যদি উঁচু আওয়াজে না পড়ে, তাহলে কি তার নামায হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
একাকী নামায আদায়কারী ব্যক্তির পেছনে কেউ যদি ইকতেদা করে আর সে ঐ ব্যক্তির ইমামতির নিয়ত করে তাহলে তার উপর ইমামের বিধান আরোপিত হবে। অর্থাৎ উচ্চ স্বরে কিরাত বিশিষ্ট নামাযে জোরে কিরাত পড়া আবশ্যক হবে। এক্ষেত্রে কিরাত অবস্থায় কেউ শরীক হলে বাকি কিরাত তাকে উচ্চ স্বরেই পড়তে হবে। আর যদি একাকী নামায আদায়কারী ব্যক্তি শরীক হওয়া লোকটির ইমামতির নিয়ত না করে তাহলে তার উপর উচ্চ স্বরে কিরাত পড়া আবশ্যক হবে না। এক্ষেত্রে আস্তে কিরাত পড়লেও সকলের নামায সহিহ হয়ে যাবে। অতএব প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি যদি ঐ ছাত্রদের ইমামতির নিয়ত করে থাকেন তাহলে আপনার উপর উচ্চ স্বরে কিরাত পড়া আবশ্যক ছিল। তা না করার কারণে সিজাদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়েছিল। আর যদি ইমামতির নিয়ত না করে থাকেন তাহলে আস্তে কিরাত পড়ার দ্বারাও নামায সহিহ হয়ে গিয়েছে।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৭২; শরহুল মুনইয়া, পৃ. ৬১৮; জামেউর রুমূয ১/১৬৪; রদ্দুল মুহতার ১/৫৩২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم