প্রশ্ন
আমাদের বাসায় স্বাভাবিকভাবে রমযানে সকলেই মসজিদের আযানের পরই ইফতার করি। কিন্তু আমার দাদা সাধারণত আযানের অপেক্ষা করেন না। ঘড়িতে ইফতারের নির্ধারিত সময় হলেই ইফতার শুরু করে দেন। গত রমযানে একদিন বরাবরের মতই তিনি ঘড়িতে ইফতারের সময় হয়ে যাওয়ায় ইফতার করে নেন। কিন্তু পরে জানা যায় যে সেদিন দুর্ঘটনাক্রমে ঘড়ি প্রায় ১২ মিনিট ফাস্ট হয়ে গিয়েছিল। ফলে ভুলে তিনি ইফতারের সময় হওয়ার বেশ কিছুক্ষণ আগেই ইফতার করে নিয়েছেন। এখন মুহতারামের কাছে জানার বিষয় হল, দাদার সেই রোযা কি ভেঙে গিয়েছিল? ভেঙে গিয়ে থাকলে এখন তার করণীয় কী?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
সময়ের আগে খেয়ে নেওয়ার কারণে আপনার দাদার উক্ত রোযা ভেঙে গেছে। অবশ্য ইফতারের সময় হয়ে গেছে ভেবে ভুলে খেয়ে ফেলেছেন বিধায় তাকে ঐ রোযার শুধু কাযা করে নিতে হবে, কাফফারা লাগবে না।
عَنْ عَلِيِّ بْنِ حَنْظَلَةَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ : شَهِدْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطّابِ فِي رَمَضَانَ، وَقُرِّبَ إلَيْهِ شَرَابٌ ، فَشَرِبَ بَعْضُ الْقَوْمِ وَهُمْ يَرَوْنَ أَنّ الشّمْسَ قَدْ غَرَبَتْ، ثُمّ ارْتَقَى الْمُؤَذِّنُ، فَقَالَ : يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَاللهِ لَلشّمْسُ طَالِعَةٌ لَمْ تَغْرُبْ، فَقَالَ عُمَرُ : مَنَعَنَا اللهُ مِنْ شَرِّكَ مَرّتَيْنِ، أَوْ ثَلاَثَةً، يَا هَؤُلاَءِ، مَنْ كَانَ أَفْطَرَ فَلْيَصُمْ يَوْمًا مَكَانَ يَوْمٍ، وَمَنْ لَمْ يَكُنْ أَفْطَرَ فَلْيُتِمّ حَتّى تَغْرُبَ الشّمْسُ.
আলী ইবনে হানযালা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি রোযার মাসে ওমর (রা.)-এর নিকট ছিলেন। তার নিকট পানীয় পেশ করা হল। উপস্থিতদের কেউ কেউ সূর্য ডুবে গেছে ভেবে তা পান করে ফেলল। এরপর ময়াযযিন আওয়াজ দিল, হে আমীরুল মুমিনীন! সূর্য এখনো ডোবেনি। তখন ওমর (রা.) বললেন, …‘যারা ইফতারি করে ফেলেছে তারা একটি রোযা কাযা করবে। আর যারা ইফতারি করেনি তারা সূর্যাস্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা: ৯১৩৮)
-কিতাবুল আছল ২/১৪৫; আলবাহরুর রায়েক ২/২৯১; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৫৬; ফাতাওয়া বায্যাযিয়া ৪/১০০; আলহাবিল কুদসী ১/৩১৫
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم