প্রশ্ন
আমরা জানি, পানি না থাকলে অথবা পানি ব্যবহার না করা গেলে ওযুর প্রয়োজন আছে- এমন কোনো ইবাদত করার জন্য তায়াম্মুম করতে হয়। কিন্তু অনেকসময় ওযুর প্রয়োজন নেই- এমন ইবাদতের জন্য পানি থাকা সত্ত্বেও আমি তায়াম্মুম করি। যেমন, দ্বীনী দরস প্রদান বা যিকির করা ইত্যাদি। আবার কখনো পানি থাকা সত্ত্বেও শুধু পবিত্র অবস্থায় থাকার উদ্দেশ্যেও তায়াম্মুম করে থাকি। জানার বিষয় হচ্ছে, আমার এভাবে তায়াম্মুম করা শরীয়তসম্মত হচ্ছে কি না? জানিয়ে উপকৃত করবেন।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
আপনি যেসব ইবাদতের কথা উল্লেখ করেছেন, সেগুলোর জন্য পবিত্রতা অর্জন করা শর্ত না হলেও পবিত্র অবস্থায় তা আদায় করা উত্তম। এক্ষেত্রে পানি থাকলেও ওযু না করে তায়াম্মুম করার সুযোগ রয়েছে। রাসূল (সা.) ওযু না থাকা অবস্থায় এক ব্যক্তি তাকে সালাম দিলে তিনি তায়াম্মুম করে তার সালামের জবাব দিয়েছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৩৭)
তাই পানি থাকা সত্ত্বেও দ্বীনী কোনো বিষয়ে দরস দেওয়া বা যিকির করার জন্য তায়াম্মুম করা সহিহ আছে। আর সর্বদা পবিত্র অবস্থায় থাকাও প্রশংসনীয় কাজ। এর জন্যও তায়াম্মুম করা যেতে পারে। তবে এসব কাজ পবিত্রতার সাথে আদায় করার জন্য ওযু করাই যে সর্বোত্তম পদ্ধতি- তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।
মনে রাখতে হবে, যেসব ইবাদত পবিত্রতা ছাড়া আদায় করা যায় না তার জন্য এ ধরনের তায়াম্মুম যথেষ্ট নয়। পানি থাকা অবস্থায় এমন ইবাদতের জন্য ওযু করাই কর্তব্য। পানি না থাকলে তখন তায়াম্মুম করতে হবে।
-আলবাহরুর রায়েক ১/১৫০; শরহুল মুনইয়া পৃ. ৮৩; আদ্দুররুল মুখতার ১/২৪৩; আসসিআয়া ১/৫২৯
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم