প্রশ্ন
এলাকার এক মেয়ের সাথে আমার দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিল। প্রায় সময়ই ফোনে তার সাথে কথাবার্তা হত। নিয়ত ছিল তাকে বিয়ে করব। তাই এ ব্যাপারে তাকে আশ্বস্ত করার জন্য একদিন বলেছিলাম, ‘আমি তোকে ছাড়া যদি অন্য কাউকে বিয়ে করি, তাহলে সে তিন তালাক।’ কিন্তু গত সপ্তাহে তার বাবা-মা তাকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়। এখন তার সাথে আমার সম্পর্কও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। উক্ত বিষয়টি জানালে কেউ কেউ বলেছেন, আমি নাকি আর বিবাহ করতে পারব না। অন্য কাউকে বিয়ে করলে তার ওপর নাকি সাথে সাথেই তিন তালাক পড়ে যাবে। এ নিয়ে আমি খুব পেরেশানিতে আছি। হুজুরের কাছে অনুরোধ, সামনে গুনাহের পথ থেকে যেন বাঁচতে পারি তাই শরীয়াহসম্মত বিবাহের কোনো সমাধান দেবেন।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী আপনি ঐ মেয়েকে উদ্দেশ্য করে উক্ত কথাটি বলার কারণে এরপর তাকে ছাড়া অন্য মেয়েকে বিবাহ করা মাত্রই তার ওপর তিন তালাক পতিত হয়ে তৎক্ষণাৎ উক্ত বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে এবং আপনারা একে অপরের জন্য সম্পূর্ণরূপে হারাম হয়ে যাবেন। তাই তালাকপ্রাপ্তা এ স্ত্রীর সাথে পুনরায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সুযোগ থাকবে না। অবশ্য এরপর আপনি অন্য মেয়েকে বিবাহ করতে পারবেন। এতে ঐ কথার কারণে তার ওপর কোনো তালাক পতিত হবে না।
উল্লেখ্য, বিবাহের পূর্বে বেগানা মহিলার সাথে সম্পর্ক রাখা ও কথাবার্তা বলা কবীরা গুনাহ। উপরন্তু কোনো মেয়েকে বিয়ে করার জন্য তাকে এভাবে বলা যে, অন্য মেয়েকে বিয়ে করলে সে তিন তালাক হয়ে যাবে, খুবই অন্যায় কথা। তাই আপনাকে খাঁটি দিলে আল্লাহর কাছে তাওবা-ইস্তেগফার করতে হবে।
-আলমুহীতুল বুরহানী ৫/১০২; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৩/১১৬; ফাতাহুল কাদীর ৩/৪৪৯; মাজমাউল আনহুর ২/৫৯; রদ্দুল মুহতার ৩/৩৫৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم