প্রশ্ন
এবার হজ্বের সফরে তাওয়াফে যিয়ারত করার পর সায়ী শুরু করার আগেই আমার ঋতুস্রাব শুরু হয়। তখন আমি এ অবস্থাতেই সায়ী করি। আমি জানতে চাচ্ছি, ঋতুস্রাব চলা অবস্থায় সায়ী করা আমার জন্য সহিহ হয়েছে? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার সায়ী সহিহ হয়েছে। কেননা সায়ীর জন্য ঋতুস্রাব থেকে পবিত্র হওয়া জরুরি নয়; বরং ঋতুস্রাব চলা অবস্থায় সায়ী করা জায়েয। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
إذَا طَافَتْ بِالْبَيْتِ ، ثُمّ حَاضَتْ قَبْلَ أَنْ تَسْعَى بَيْنَ الصّفَا وَالْمَرْوَةِ ، فَلْتَسْعَ بَيْنَ الصّفَا وَالْمَرْوَةِ.
যদি বাইতুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ করার পর সায়ী করার পূর্বেই ঋতুস্রাব শুরু হয়, তাহলে (ঋতুস্রাব অবস্থায়ই) সাফা-মারওয়ার মাঝে সায়ী করে নেবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস: ১৪৫৮৩)
অন্য বর্ণনায় আছে, হযরত আয়েশা ও উম্মে সালামাহ (রা.) বলেন-
إذَا طَافَتِ الْمَرْأَةُ بِالْبَيْتِ، ثُمّ صَلّتْ رَكْعَتَيْنِ، ثُمّ حَاضَتْ، فَلْتَطُفْ بَيْنَ الصّفَا وَالْمَرْوَةِ.
যদি ঋতুস্রাব শুরু হয়, তাহলে (ঋতুস্রাব অবস্থায়ই) সাফা-মারওয়ার মাঝে সায়ী করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস: ১৪৫৮২)
উল্লেখ্য, কাফেলার সাথে সায়ী আদায়ের আবশ্যকতা বা অন্য কোনো ওযর না থাকলে সায়ীও পবিত্র অবস্থায় করা উচিত।
-আলমাবসূত, সারাখসী ৪/৫১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৪৭; বাদায়েউস সানায়ে ২/৩১৯; গুনইয়াতুন নাসিক, পৃ. ১৩৪
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم