প্রশ্ন
আমার দাদার উপর হজ্ব ফরজ হওয়ার পর প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাই তিনি অন্য এক ব্যক্তিকে দিয়ে তার বদলী হজ্ব করিয়ে নেন। বর্তমানে তিনি পুরোপুরি সুস্থ। জানতে চাচ্ছি, এখন তিনি যদি আবার হজ্ব করেন তাহলে তা ফরজ হিসেবে গণ্য হবে নাকি নফল হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
শর্ত সাপেক্ষে বদলী হজ্ব করানো বৈধ। তন্মধ্যে একটি যিনি হজ্ব করাচ্ছেন তিনি পুরোপুরি অক্ষম হওয়া কিংবা মৃত্যুবরণ করা। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ جَاءَتْ امْرَأَةٌ مِنْ خَثْعَمَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ فَرِيضَةَ اللَّهِ عَلَى عِبَادِهِ فِي الْحَجِّ أَدْرَكَتْ أَبِي شَيْخًا كَبِيرًا لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَسْتَوِيَ عَلَى الرَّاحِلَةِ فَهَلْ يَقْضِي عَنْهُ أَنْ أَحُجَّ عَنْهُ قَالَ نَعَمْ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রা.) বলেন, বিদায় হজ্বে খাছআম গোত্রের একজন নারী রাসূলুল্লাহ (সা.)কে জিজ্ঞাসা করল, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার বাবার উপর হজ্ব ফরয হয়েছে, কিন্তু তিনি এত বৃদ্ধ যে, বাহনের উপর স্থির হয়ে বসে থাকতে পারেন না। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্ব করতে পারব?’ নবী করিম (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ। (তার পক্ষ থেকে হজ্ব করতে পারবে)।’ [সহীহ বুখারী ১/২০৫; সহীহ মুসলিম ১/৪৩১]
যিনি হজ্ব করাচ্ছেন তিনি যদি কখনো সুস্থ হয়ে যান তাহলে তার পক্ষ থেকে করা হজ্বটি বাতিল হয়ে যায়। পুনরায় তাকে হজ্বটি করতে হয়।
কাজেই আপনার দাদা হজ্ব করলে তা ফরজ হজ্ব হিসেবেই গণ্য হবে। আগেরটি তার পক্ষ থেকে নফল হিসেবে গণ্য হবে।
আলমাবসূত, সারাখসী ৪/১৫২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم