প্রশ্ন
আমাদের মসজিদে এক ব্যক্তিকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার চেষটা চলছে। উক্ত ব্যক্তি এমন এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে যেখানে সহশিক্ষা চালু আছে। জানতে চাচ্ছি, এমন ব্যক্তি ইমাম হওয়ার উপযুক্ত কি?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
ইমামতির পদটি শরিয়তেরিএক গুরুত্বপূর্ণ পদ। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,
الْإِمَامُ ضَامِنٌ
‘ইমাম মুসল্লীদের নামাযের যিম্মাদার।’ [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৯৪২৮]
অন্য হাদীসে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন-
إِن سَرَّكُمْ أَنْ تُقْبَلَ صَلَاتُكُمْ فَلْيَؤُمَّكُمْ خِيَارُكُمْ، فَإِنَّهُمْ وَفْدُكُمْ فِيمَا بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ رَبِّكُمْ عَزَّ وَجَلَّ.
‘যদি তোমরা চাও তোমাদের নামায কবুল হোক, তাহলে তোমাদের ইমাম যেন হয় তোমাদের সর্বোত্তম ব্যক্তি। কারণ ইমাম হল তোমাদের ও তোমাদের রবের মধ্যকার প্রতিনিধি।’ [মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস: ৫০৩৪]
কাজেই ইমাম হতে হবে এমন ব্যক্তির যার আকীদা বিশুদ্ধ, তিলাওয়াত বিশুদ্ধ, যে খোদাভীরু, সুন্নতের অনুসারী। প্রকাশ্য গোনাহের কাজে লিপ্ত ব্যক্তি ইমাম হওয়ার যোগ্য নয়।
যে ব্যক্তি সহশিক্ষা মূলক প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত সে প্রকাশ্যে নাজায়েয কাজে জড়িত। কাজেই এমন ব্যক্তি ইমামতির যোগ্য নয়। মসজিদের দায়িত্বশীলদের উচিত এমন ব্যক্তিকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ না দেওয়া।
আলমাবসূত, সারাখসী ১/৪০
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم