প্রশ্ন
স্ত্রীর অসম্মতিতে শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারে ইসলাম কি বলে? এটা কি ধর্ষণ হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
স্বামীর সকল বৈধ ইচ্ছা পূরণ করা স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য; তন্মধ্যে সহবাসও। যখন কোনো স্ত্রীর শরয়ী ওযর (হায়েয ও নেফাস বা কোনো ধরনের অসুস্থতা, ইত্যাদি) না থাকে ও স্বামী তার নিকট সহবাসের ইচ্ছা পোষণ করে তখন স্ত্রীর কর্তব্য স্বামীর আনুগত্য করা। যদি স্ত্রী বাধা দেয় তাহলে গুনাহগার হবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
وعن أبي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «إذا دعا الرجل امرأته إلى فراشه فأبت فبات غضبان لعنتها الملائكة حتى تصبح»
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) বলেন- যখন স্বামী স্ত্রীকে সহবাসের জন্যে ডাকে আর স্ত্রী তার ডাকে সাড়া না দেয় ফলে স্বামী সারারাত রাগ করে থাকে তাহলেতো ফেরেশতারা ওই স্ত্রীর ওপর লানত করতে থাকে। (সহিহ বুখারি, হাদিস:৩২৩৭; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৪৩৬)
তাই প্রত্যেক স্ত্রীর উচিত তার স্বামীর চাহিদা সম্পর্কে সতর্ক থাকা। স্বামীর উচিত তার সাথে রুঢ় ব্যবহার না করে তাকে কুরআন হাদিসের আলোকে বুঝানো, নিজেদের মাঝে ভালবাসা-সম্পৃতি তৈরি করা।
তবে স্ত্রী রাজি না হলে যদি স্বামী জোর করে সহবাস করে তাহলেও এটা ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم