প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার কাছে কুরবানীর নেসাব পরিমাণ সম্পদ ছিল। আমার কাছে এক ব্যক্তি ধার চাওয়ার কারণে তাকে আমি সেই টাকা ধার দেই। এখন এই টাকা ছাড়া আমার কাছে নেসাব পরিমাণ কোনো সম্পদ নেই। এই টাকা সে আমাকে কুরবানীর ৬দিন পরে দিবে বলেছে। এমতাবস্থায় কি আমার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে? আমার পরিচিত একজন মুফতী সাহেব বলেছেন এমতাবস্থায় আমার উপর কুরবানী করা আবশ্যক নয়। উনার কথা কি সঠিক?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
আপনাকে যেই মুফতি সাহেব হাফি. উত্তর দিয়েছেন, তার উত্তর সঠিক। যদি কোনো ব্যক্তি নেসাবের মালিক হয় এবং ঋণদাতা হয় কিন্তু কুরবানীর দিনগুলোতে কুরবানী করার মতো কোনো সম্পদও তার কাছে না থাকে তাহলে তার জন্য কুরবানী করা আবশ্যক নয়। কেননা নেসাবের মালিক হওয়া সত্ত্বেও ঋণ প্রদান এবং নগদ অর্থ না থাকার কারণে তিনি এখন ফকির বা দরিদ্রের কাতারে অবস্থান করছেন।
ফতোয়া বাযযাজিয়্যাহ গ্রন্থে আছে,
لہ دین حال علی مقر ملئ ولیس عندہ ما یشتریہا بہ لا یلزمہ الاستقراض ولا قیمة الأضحیة إذا وصل الدین إلیہ ولکن یلزمہ أن یسأل منہ ثمن الأضحیة إذا غلب علی ظنہ أنہ یعطیہ، لہ مال کثیر غائب في ید مضاربہ أو شریکہ ومعہ من الحجرین أو متاع البیت ما یشتری بہ الأضحیة تلزم“ (فتاوی بزازیہ برہامش ہندیہ ۶: ۲۸۷، ۲۸۸ مطبوعہ مکتبہ زکریا دیوبند)
কিন্তু “যদি ওই ঋণদাতার কাছে স্বর্ণ, রৌপ্য ইত্যাদি বা এমন কোন গ্রহাস্থলী সম্পদ থাকে যা দিয়ে তিনি কুরবানীর ছোট পশু ক্রয় করতে পারেন বা বড় কোনো পশুতে শরীক হতে পারেন তবে তার উপর কুরবানী করা আবশ্যক। আর যদি তার কোনটিই না থাকে এবং ঋণগ্রহীতা এমন হয়ে যে, ঋণদাতা যদি তার কাছে কুরবানীর সমপরিমাণ টাকা তলব করেন, তাহলে আশা করা যায় তিনি “না” করবেন না, তাহলে তার কাছ থেকে কুরবানীর সমপরিমাণ টাকা চেয়ে নিয়ে কুরবানী করতে হবে।” (ফতোয়া বাযযাজিয়্যাহ ২৮৭,২৮৮)
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم