প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি আমি জানি জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। কিন্তু আমার মা বলছেন যে জুমার নামাজ আদায় করা ওয়াজিব । আমাকে সঠিক বিষয় জানাবেন দয়া করে।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
জুমার নামায আদায় করা ফরজ। নিয়ত করার সময় ‘ফরজ’ বা ‘ওয়াজিব’ এভাবে আলাদা শব্দ উল্লেখ করার কোন প্রয়োজন নেই। বরং মনে মনে জুমার আদায় করছি এতটুকু স্থীর নিয়ত থাকলেই জুমা আদায় হয়ে যাবে।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআ’লা বলেন-
{يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلاةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ} [الجمعة: 9].
হে মুমিনগণ! জুমআ’র দিন যখন নামাযের জন্য ডাকা হয়, তখন আল্লাহর যিকিরের দিকে ধাবিত হও। (সূরা জুমআ’ আয়াত: ৯)
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ قَدِ افْتَرَضَ عَلَيْكُمُ الْجُمُعَةَ فِي مَقَامِي هَذَا فِي يَوْمِي هَذَا فِي شَهْرِي هَذَا مِنْ عَامِي هَذَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ فَمَنْ تَرَكَهَا فِي حَيَاتِي أَوْ بَعْدِي وَلَهُ إِمَامٌ عَادِلٌ أَوْ جَائِرٌ اسْتِخْفَافًا بِهَا أَوْ جُحُودًا بِهَا فَلاَ جَمَعَ اللَّهُ لَهُ شَمْلَهُ وَلاَ بَارَكَ لَهُ فِي أَمْرِهِ أَلاَ وَلاَ صَلاَةَ لَهُ وَلاَ زَكَاةَ لَهُ وَلاَ حَجَّ لَهُ وَلاَ صَوْمَ لَهُ وَلاَ بِرَّ لَهُ حَتَّى يَتُوبَ فَمَنْ تَابَ تَابَ اللَّهُ عَلَيْهِ أَلاَ لاَ تَؤُمَّنَّ امْرَأَةٌ رَجُلاً وَلاَ يَؤُمَّنَّ أَعْرَابِيٌّ مُهَاجِرًا وَلاَ يَؤُمَّ فَاجِرٌ مُؤْمِنًا إِلاَّ أَنْ يَقْهَرَهُ بِسُلْطَانٍ يَخَافُ سَيْفَهُ وَسَوْطَهُ ” .
জাবির ইবন ‘আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সা.) আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তখন তিনি বলেনঃ তোমরা জেনে রাখ, আল্লাহ্ তা’আলা এই স্থানে, এই দিনে, এই মাসে এবং এই বছরে তোমাদের উপর কিয়ামত দিবস পর্যন্ত জুমার সালাত ফরয করেছেন। কাজেই যে ব্যক্তি আমার হায়াতকালে অথবা আমার ইনতিকালের পরে, তার জন্য ন্যায়পরায়ণ অথবা জালিম বাদশাহ থাকা সত্ত্বেও, জুমার সালাত হালকা মনে করে অথবা অস্বীকারবশতঃ তা বর্জন করবে, আল্লাহ্ তার বিক্ষিপ্ত বিষয়কে একত্রিত করবেন না এবং কোন কাজে বরকত দান করবেন না। সাবধান ! তার সালাত, যাকাত, হজ্জ, সাত্তম এবং কোন নেক আমল গ্রহণ করা হবে না, যতক্ষণ না সে তাওবা করে। যে ব্যক্তি তাওবা করে, আল্লাহ্ তা’আলা তার তাওবা কবুল করেন। সাবধান! কোন মহিলা কোন পুরুষের কোন বেদুঈন কোন মুহাজিরের এবং কোন পাপাচারী কোন মুমিন ব্যক্তির ইমামত করবে না। তবে তা যদি বাদশাহের ফরমান হয় এবং তার তরবারি ও চাবুকের ভয় থাকে, তাহলে ভিন্ন কথা। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস: ১০৮১)
সুতরাং জুমার নামায ফরজ। ওয়াজিব নয়।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم