প্রশ্ন
জনৈকা নারী বাটিতে করে তার বুকের দুধ দেড় বছরের এক বাচ্চাকে খাইয়েছে। জানতে চাচ্ছি, উক্ত নারীর সাথে সেই বাচ্চার দুধ সম্পর্ক সাব্যস্থ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরামের নিকট বাচ্চা সামান্য দুধ খেলেই দুধ সম্পর্ক স্থাপন হয়ে যায়। শরিয়তে এ জন্য কোনো পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَأُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِي أَرْضَعْنَكُمْ
‘তোমাদের সে সব মাতাকে যারা তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছে।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ২৩]
এই আয়াত থেকে তারা দলিল দেন যে, আয়াতে আল্লাহ তাআলা দুধ মা হওয়ার জন্য কোনো পরিমাণ উল্লেখ করেননি। বরং বলেছেন,দুধ পান করালেই তারা দুধ মা হয়ে যাবেন। হানাফী মাযহাবেও এই মত গ্রহণ করা হয়েছে। ইবনে কাসীর (রহ.) বলেন,
‘এই মত গ্রহণ করেছেন ইবনে উমর (রা.), সাইদ উবনে মুসাইয়্যেব (রহ.), সাইদ ইবনে যুবাইর (রহ.), ইমাম মালেক (রহ.), ইমাম জুহরী (রহ.)।’ [তাফসীরে ইবনে কাসীর ২/২১৭]
হাদিস শরিফে এসেছে, ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন,
يُحَرِّمُ قَلِيلُ الرَّضَاعِ، كَمَا يُحَرِّمُ كَثِيرُهُ
‘বেশি পান করলে যেমনিভাবে দুগ্ধ সম্পর্ক স্থাপিত হয় অল্প পান করলেও তেমনিভাবে দুগ্ধ সম্পর্ক স্থাপিত হয়।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদিস: ১৭০৩৩]
কাজেই যেভাবেই খাওয়ানো হোক না কেন দুই বছরের ভিতরে দুধ পান করানো হলে দুধ সম্পর্ক স্থাপিত হয়ে যাবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم