প্রশ্ন
আমার পিতা নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামায আদায় করেন এবং তাহাজ্জুদের পরই বেতের পড়েন। জানতে চাচ্ছি, রমযানে তার জন্য বেতেরের নামায জামাতে পড়া কি উত্তম নাকি তাহাজ্জুদের পর?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
রমযান মাসে বিতর নামায জামাতের সাথে পড়া উত্তম। বিষয়টি সাহাবায়ে কেরামের আমল দ্বারা প্রমাণিত। এমনকি একটি যয়ীফ হাদিসে পাওয়া যায় যে, রাসূল (সা.) রমযানে বিতরের নামায জামাতের সাথে পড়িয়েছেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
عن جابر بن عبد الله، قال: خرج النبي – صلى الله عليه وسلم – ذات ليلة في رمضان فصلى الناس أربعة وعشرون ركعة وأوتر بثلاثة
‘জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) রমজানের এক রাতে ঘর থেকে বের হয়ে এলেন এবং লোকদেরকে নিয়ে বিশ রাকাত তারাবী ও তিন রাকাত বিতর পড়ালেন।’ [আল মাওসুআতুল হাদিসিয়্যাহ, হাদিস: ৪২৮১]
অন্য আরেক হাদিসে এসেছে,
كَانَ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فِي رَمَضَانَ بِالْمَدِينَةِ عِشْرِينَ رَكْعَةً، وَيُوتِرُ بِثَلَاثٍ
‘উবাই ইবনে কাব (রা.) মদীনায় লোকদের নিয়ে বিশ রাকাত তারাবী পড়াতেন এবং তিন রাকাত বিতর পড়াতেন।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদিস: ৭৬৮৪]
আল্লামা ইবনে তাইমিয়্যাহ (রহ.) বলেন,
‘রমজান মাসে আলী (রা.) কারীদেরকে ডেকে তাদের একজনকে বিশ রাকাত তারাবীর নামাজ পড়াতে বলতেন। আর বিতরের নামাজ আলী (রা.) নিজেই পড়াতেন।’ [মিনহাজুস সুন্নাহ ৮/৩০৮]
কাজেই আপনার পিতা জামাতের সাথেই বেতের পড়বেন। এটাই তার জন্য উত্তম।
মারাকিল ফালাহ, পৃ. ২১১
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم