প্রশ্ন
আগে আমার দ্বীনের বুঝ ছিল না। সেসময় ইচ্ছাকৃত অনেক রোযা ভেঙ্গেছিলাম। এখন সেগুলো কাযা করতে চাচ্ছি। প্রশ্ন হল, আমার কাফফারা কয়টি দিতে হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কোনো ব্যক্তি যদি রমযানে ইচ্ছাকৃত কোনো রোযা ভেঙ্গে ফেলে তাহলে কাযা কাফফারা উভয়ই আবশ্যক হয়ে যায়। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ: هَلَكْتُ، قَالَ: «وَمَا أَهْلَكَكَ؟» قَالَ: وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: «أَعْتِقْ رَقَبَةً» قَالَ: لَا أَجِدُ، قَالَ: «صُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ» قَالَ: لَا أُطِيقُ، قَالَ: «أَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا» قَالَ: لَا أَجِدُ، قَالَ: «اجْلِسْ» فَجَلَسَ، فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ أُتِيَ بِمِكْتَلٍ، يُدْعَى الْعَرَقَ، فَقَالَ: «اذْهَبْ، فَتَصَدَّقْ بِهِ» قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ، مَا بَيْنَ لَابَتَيْهَا أَهْلُ بَيْتٍ أَحْوَجُ إِلَيْهِ مِنَّا، قَالَ: «فَانْطَلِقْ فَأَطْعِمْهُ عِيَالَكَ
‘আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। তিনি বলেন, কিসে তোমাকে ধ্বংস করলো। সে বললো, আমি রমযানের রোযারত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তুমি একটি গোলাম আযাদ করো সে বললো, আমার সেই সামর্থ্য নাই। তিনি বলেন, তাহলে একাধারে দু’ মাস রোযা রাখো। সে বললো, আমার সেই সামর্থ্যও নাই। তিনি বলেন, তাহলে ষাটজন মিসকীনকে আহার করাও। সে বললো, আমার সেই সামর্থ্যও নাই। তিনি বলেন, তুমি বসো। অতএব সে বসে থাকলো। ইতোমধ্যে এক ঝুড়ি খেজুর এলো। তিনি বলেন, যাও এটা দান করে দাও। সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! সেই সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন! মদিনার দু’ কংকরময় প্রান্তরের মাঝে আমাদের চেয়ে অধিক অভাবগ্রস্ত আর কেউ নেই। তিনি বলেন, যাও, এগুলো তোমার পরিবার-পরিজনদের খাওয়াও।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬৭১]
আপনার করণীয় হল, যে কয়টি রোযা ভেঙ্গেছেন সেগুলোর কাযা করতে হবে। আর সবগুলো রোযার জন্য একটা কাফফারা আদায় করবেন।
আদ্দুররুর মুখতার ২/৪১৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم