প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তির মুখে শুনলাম, হজ্বের মাসে উমরা করা ঠিক নয়। জানতে চাচ্ছি, এটা কি সঠিক?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
না, উক্ত ব্যক্তির কথা সঠিক নয়। এগুলো জাহেলী যুগের ধারণা। বরং হজ্বের মাসে উমরা করা বৈধ। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رضي الله عنهما قَالَ: كَانُوا يَرَوْنَ أَنَّ الْعُمْرَةَ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ مِنْ أَفْجَرِ الْفُجُورِ فِي الْأَرْضِ، وَيَجْعَلُونَ الْمُحَرَّمَ صَفَرًا، وَيَقُولُونَ: إِذَا بَرَأَ الدَّبَرُ، وَعَفَا الْأَثَرْ، وَانْسَلَخَ صَفَرْ، حَلَّتِ الْعُمْرَةُ لِمَنِ اعْتَمَرَ، فَقَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم، وَأَصْحَابُهُ صَبِيحَةَ رَابِعَةٍ مُهِلِّينَ بِالْحَجِّ، فَأَمَرَهُمْ أَنْ يَجْعَلُوهَا عُمْرَةً، فَتَعَاظَمَ ذَلِكَ عِنْدَهُمْ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ، أَيُّ الْحِلِّ؟ قَالَ: الْحِلُّ كُلُّهُ
‘ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন জাহিলী যুগে লোকেরা হজ্জের মাসসমূহে উমরাহ পালন করাকে পৃথিবীর বুকে সর্বাপেক্ষা বড় অপরাধ মনে করত এবং মুহাররম মাসকে ’সফর মাস হিসেবে গণনা করত। তারা বলত, যখন উটের পিঠ ভালো হয়ে যাবে, হাজীদের পদচিহ্ন লুপ্ত হয়ে যাবে এবং সফর মাস অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন যে ব্যক্তি উমরাহ করতে চায়, তার জন্য তা করা জায়িয হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীগণহজের) ইহরাম বেঁধে যিলহাজের চার তারিখে মক্কায় (মক্কায়) পৌছলে তিনি তাদের হজের ইহরামকে উমরার ইহরামে পরিণত করার নির্দেশ দেন। কিন্তু এ নির্দেশ তাদের কাছে গুরুতর কাজ বলে মনে হল। অতএব তারা বললেন, হে আল্লাহর রসূল! কিরূপে ইহরামমুক্ত হব? তিনি বললেন, সম্পূর্ণরূপে ইহরামমুক্ত হবে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১২৪০]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم