প্রশ্ন
বছরে যে কয়বার ফসল ফলানো হবে প্রতিবারই কি উশর দিতে হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
উশর যাকাতেরই একটি প্রকার। পার্থক্য হলো যাকাত দিতে হয় চল্লিশ ভাগের এক ভাগ। আর উশর দিতে হয় দশ ভাগের এক ভাগ। উশর অপরিহার্য হয় যমীন থেকে উৎপাদিত ফসলাদির মধ্যে।
যেসব যমীনে পানি সেঁচের প্রয়োজন হয় না, সেসব যমীনের দশ ভাগের এক ভাগ উশর দিতে হবে।
আর যদি সেঁচের প্রয়োজন হয় তাহলে বিশ ভাগের এক ভাগ তথা নিসফে উশর দিতে হবে। হাদিস শরিফে এসেছে-
عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِيمَا سَقَتْ السَّمَاءُ وَالْعُيُونُ أَوْ كَانَ عَثَرِيًّا الْعُشْرُ وَمَا سُقِيَ بِالنَّضْحِ نِصْفُ الْعُشْرِ.
‘সালেম বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে, তিনি নবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে জমি আসমানের পানি এবং নদী খাল বিল প্রভৃতির পানি দ্বারা সিক্ত হয়েছে অথবা যে জমির মাটি খুব উর্বর ও রসাল, সে জমিতে উৎপাদিত ফসলের এক দশমাংশ উশর দিতে হবে। আর যে জমিতে পানি সিঞ্চন করতে হয় তা হতে উৎপাদিত ফসলের বিশভাগের এক ভাগ অর্থাৎ নিসফে উশর দিতে হবে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৪৮৩]
উশর প্রত্যেক ফসলের দিতে হবে। বছরে যে কয়বার ফসল ফলাবে সে কয়বারই উশর আদায় করতে হবে। কারণ, এর সম্পর্কই হল যমীনে উৎপাদিত ফসলের সাথে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم