প্রশ্ন
এশার পর সূরা মুলক পাঠের বিশেষ কোনো ফজিলত আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
যে ব্যক্তি প্রতিরাতে সূরা মুলক পাঠ করবে, সূরা মুলক তার জন্য কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবে। তাকে কবরের আযাব থেকে হেফাজত করবে। এই ফজিলত সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
إِنَّ سُورَةً مِنَ القُرْآنِ ثَلَاثُونَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ، وَهِيَ سُورَةُ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ المُلْكُ
‘কুরআনের মধ্যে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা আছে যেটি কারো পক্ষে সুপারিশ করলে তাকে মাফ করে দেয়া হয়। এ সূরাটি হল তাবারাকাল্লায়ী বিয়াদিহিল মুলক।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১৪০০; সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ২৮৯১]
আরেক হাদিসে এসেছে, ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত,
من قَرَأَ {تبَارك الَّذِي بِيَدِهِ الْملك} كل لَيْلَة مَنعه الله بهَا من عَذَاب الْقَبْر
‘যে ব্যক্তি প্রতি রাতে তাবারাকাল্লায়ী বিয়াদিহিল মুলক পড়বে, আল্লাহ তাআলা তাকে এই সূরার মাধ্যমে কবরের আযাব থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন।’ [আমালুল ইয়াউমি ওয়াল লাইলাতি, নাসাঈ, হাদিস: ৭১১]
সহিহুত তারগিব ২/২৫৩, হাদিস: ১৫৮৯
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم