প্রশ্ন
একটি বইয়ে পেলাম, এশার নামাযের পর যদি অতিরিক্ত দুটি সেজদা দেওয়া হয় তাহলে ৪০ বছরের গুনাহ মাফ হয়। জানতে চাচ্ছি, এ ব্যাপারে কুরআন হাদিসের কোনো দলিল আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আমরা কুরআন হাদিসে এ জাতীয় কোনো সেজদার বিবরণ খুঁজে পাইনি। আর যে কাজ রাসূল (সা.) কিংবা সাহাবায়ে কেরাম থেকে বর্ণিত নয় সে কাজ করা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। তাছাড়া এ জাতীয় সেজদাকে উলামায়ে মাকরূহ বলেছেন। আল্লামা আবু শামা (রহ.) বলেন,
أَن سَجْدَتي هَذِه الصَّلَاة المفعولتين بعد الْفَرَاغ مِنْهَا مكروهتان فَإِنَّهُمَا سَجْدَتَانِ لَا سَبَب لَهما والشريعة لم ترد بالتقرب الى الله تَعَالَى فِي السُّجُود إِلَّا فِي الصَّلَاة أَو لسَبَب خَاص فِي سَهْو أَو قِرَاءَة ة سَجْدَة وَفِي سَجْدَة الشُّكْر خلاف استحبها الشَّافِعِي
‘নামাযের পর যে দুটি সেজদা দেওয়ার প্রচলন দেখা যাচ্ছে তা করাটা মাকরূহ। কারণ এ দুটি সেজদা কোনো ছাড়া দেওয়া হচ্ছে। অথচ সেজদার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের বিষয়টি শুধুমাত্র নামাযের সেজদা, বিশেষ ক্ষেত্রে সাহু সেজদা, তেলাওয়াতের সেজদার ক্ষেত্রে শরিয়ত কর্তৃক অনুমোদিত। সেজদায়ে শুকরের ক্ষেত্রে উলামায়ে কেরামের মতভেদ রয়েছে। ইমাম শাফেয়ী মুস্তাহাব বলেছেন।’ [আলবাইছ আলা ইনকারিল বিদা ওয়াল হাওয়াদেছ, পৃ. ৬০]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم