প্রশ্ন
স্বামী স্ত্রীর লজ্জাস্থান পরস্পর ঘষাঘষির দ্বারা কি গোসল ফরয হয়?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
উত্তেজনার সাথে বীর্যপাত হওয়ার দ্বারা গোসল ফরয হয়। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
فَإِذَا فَضَخْتَ الْمَاءَ فَاغْتَسِلْ
‘যদি উত্তেজনা বশত বীর্য নির্গত হয় তবে গোসল করবে।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২০৬]
অনুরূপভাবে পুরুষাঙ্গ যোনীতে প্রবেশ করানোর দ্বারাও গোসল ফরয হয়ে যায়। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ إِنَّ رَجُلاً سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الرَّجُلِ يُجَامِعُ أَهْلَهُ ثُمَّ يُكْسِلُ هَلْ عَلَيْهِمَا الْغُسْلُ وَعَائِشَةُ جَالِسَةٌ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنِّي لأَفْعَلُ ذَلِكَ أَنَا وَهَذِهِ ثُمَّ نَغْتَسِلُ
‘রাসূল (সা.)-এর স্ত্রী আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা কোনো এক লোক রাসূল (সা.)-কে প্রশ্ন করল, যদি কেউ তার স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করে, অতঃপর বীর্য বের হবার আগেই তার পুরুষাঙ্গ বের করে ফেলে তাহলে কি তাদের উভয়ের উপর গোসল ফরজ হবে? এ সময়ে আয়েশা (রা.) সেখানে উপবিষ্ট ছিলেন। রাসূল (সা.) বললেন, আমি এবং আয়েশা (রা.) ঐরূপ করি, এরপর আমরা গোসল করে ফেলি।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬৭৩]
কাজেই উপরোক্ত দুটি কারণের কোনোটি যদি না পাওয়া যায় তাহলে শুধু ঘষাঘষির দ্বারা গোসল ফরয হবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم