প্রশ্ন
আমি একটি মেয়েকে ভালোবাসি। কিন্তু তার পরিবার মেনে নিবে না। আমার পড়ালেখা শেষ হয়নি তাই আমার পরিবারও মেনে নিবে না। সেই আমাকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে চাচ্ছে। জানতে চাচ্ছি, আমি তাকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করব নাকি পবিারের কথা শুনবো?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
বিয়ে বহির্ভুত প্রেম হারাম ও নাজায়েয। কারণ তা অনেক হারাম কাজে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে থাকে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ مُحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ وَلَا مُتَّخِذِي أَخْدَانٍ
‘আর সতী সাধ্বী মুসলিম নারীরাও এবং তোমাদের পূর্ববর্তী আহলে কিতাবের মধ্যকার সতী-সাধ্বী নারীরাও (তোমাদের জন্য হালাল), যখন তোমরা তাদেরকে তাদের বিনিময় (মোহর) প্রদান কর, এ রূপে যে, তোমরা (তাদেরকে) পত্নী রূপে গ্রহণ করে নাও, না প্রকাশ্যে ব্যভিচার কর, আর না গোপন প্রণয় কর।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৫]
এই অবৈধ প্রেম মানুষকে যিনায় উদ্বুদ্ধ করে থাকে। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
‘নিঃসন্দেহে দু’চোখের ব্যভিচার হলো তাকানো, দু’কানের ব্যভিচার হলো শোনা, জিহ্বার ব্যভিচার হলো কথোপকথন করা, হাতের ব্যভিচার হলো শক্ত করে ধরা, পায়ের ব্যভিচার হলো হেঁটে যাওয়া, হৃদয়ের ব্যভিচার হচ্ছে কামনা-বাসনা করা। আর লজ্জাস্থান তা সত্যায়িত করে বা মিথ্যা সাব্যস্ত করে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৫৭]
আপনার করণীয় হল, এখনি উক্ত সম্পর্ক বর্জন করে আল্লাহর কাছে তওবা করা। কারণ এক তো আপনি অবৈধ প্রেমে লিপ্ত আবার পরিবারের অবাধ্য হওয়ার চিন্তা করছেন। শরিয়তের তাকাজা হল, বিয়ে করাবে অভিভাবক। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَأَنْكِحُوا الْأَيَامَى مِنْكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ
‘আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও।’ [সূরা নূর, আয়াত: ৩২]
কাজেই আপনি যদি উক্ত মেয়েকে বিয়ে করতেই চান তাহলে দুই পরিবারের সম্মতিতেই অগ্রসর হবেন। আল্লাহ তাআলা সকলকে সহিহ বুঝ দান করুন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم