প্রশ্ন
হিজড়া ব্যক্তি আজান দিতে পারবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইসলামি শরিয়তে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য স্বতন্ত্র কোনো বিধান দেওয়া হয়নি। বরং ইসলামি শরিয়ত তাদেরকে নারী বা পুরুষের কাতারে ফেলে সে অনুযায়ী বিধান আরোপ করেছে। তবে যেহেতু তাদের মাঝে নারী ও পুরুষ উভয়ের বিশেষ অঙ্গ বিদ্যমান রয়েছে, তাই দেখতে হবে কোন অঙ্গ দিয়ে তারা পেশাব করে। যদি নারী অঙ্গ দিয়ে করে তাহলে তাকে নারী ধরে সে হিসেবে শরিয়তের বিধান আরোপ করা হবে। আর যদি পুরুষাঙ্গ দিয়ে পেশাব করে তাহলে তাকে পুরুষ ধরে সে হিসেবে শরিয়তের বিধান আরোপ করা হবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
أَنَ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ سُئِلَ عَنِ الْمَوْلُودِ لَا يُدْرَى أَرَجُلٌ أَمِ امْرَأَةٌ، فَقَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: يُوَرَّثُ مِنْ حَيْثُ يَبُولُ
‘আলী (রা.)-কে হিজড়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, যেভাবে সে পেশাব করে (অর্থাৎ, নারী অঙ্গ দিয়ে পেশাব করলে নারী হিসেবে গণ্য হবে। আর পুরুষাঙ্গ দিয়ে করলে পুরুষ হিসেবে গণ্য হবে।) সেই হিসেবে মিরাস পাবে।’ [সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদিস: ১২৫১৪]
আর আজান দিবে পুরুষরা। বিশিষ্ট তাবেয়ি হাসান বসরি ও ইবনে সিরীন (রহ.) বলেন-
عَنِ الْحَسَنِ ، وَمُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ ، قَالاَ : لَيْسَ علَى النِّسَاءِ أَذَانٌ ، وَلاَ إقَامَةٌ
‘নারীদের উপর আযান ও ইকামাত নেই।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ২৩২৬]
কাজেই যে হিজড়ার মাঝে পুরুষদের বৈশিষ্ট পাওয়া যাবে সে আজান দিতে পারবে। কিন্তু যে হিজড়ার মাঝে নারীর বৈশিষ্ট পাওয়া যাবে সে আজান দিতে পারবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم