প্রশ্ন
কেউ যদি কাফফারার ষাটটি রোযা রাখা অবস্থায় মাঝখানে যদি নিষিদ্ধ দিনগুলো চলে আসে তাহলে এবং সে ঐ দিনগুলোতে রোযা রেখে ফেলে তাহলে কাফফারার রোযা হিসেবে গণ্য হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
দুই ঈদ ও আইয়ামে তাশরিক তথা জিলহজের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ এই ৫ দিন রোযা রাখা নিষিদ্ধ।
হাদিস শরিফে এসেছে,
لا تصوموا هذه الأيام، فإنها أيام أكل وشرب وذكر الله عز وجل
‘রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা এ দিনগুলোতে রোযা রেখো না। কারণ এ দিনগুলো পানাহার ও আল্লাহর জিকিরের দিন।’ [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১০৬৬৪]
তাই এমনভাবে কাফফারার রোযগুলো রাখতে হবে যেন এই দিনগুলো মাঝখানে চলে না আসে।
উল্লেখ্য, কাফফারার রোযা রাখা অবস্থায় যদি সেদিনগুলো চলে আসে এবং রোযা রাখা হয়, তাহলে এর দ্বারা কাফফারার রোযা আদায় হবে না। এক্ষেত্রে পুনরায় লাগাতার ২ মাস রোযা রাখতে হবে।
বাদায়েউস সানায়ে ৪/২৭৪; আলবাহরুর রায়েক ৪/১০৫, ২৯৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৫১২; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪৩৪, ৩/৪৭৬; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/২১৫
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم