প্রশ্ন
কেউ যদি পাঞ্জেগানা মসজিদে ইতিকাফে বসে তাহলে সে শুক্রবারে জুমআর নামাযের জন্য অন্য মসজিদে যেতে পারবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
প্রাকৃতিক ও আবশ্যকীয় প্রয়োজন ছাড়া ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ থেকে বের হওয়া বৈধ নয়। কেউ বের হলে ইতিকাফ ভেঙ্গে যাবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ وَإِنْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَيُدْخِلُ عَلَيَّ رَأْسَهُ وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ فَأُرَجِّلُهُ وَكَانَ لاَ يَدْخُلُ الْبَيْتَ إِلاَّ لِحَاجَةٍ إِذَا كَانَ مُعْتَكِفًا
‘নবী সহধর্মিণী আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) মসজিদে থাকাবস্থায় আমার দিকে মাথা বাড়িয়ে দিতেন আর আমি তা আঁচড়িয়ে দিতাম এবং তিনি যখন ইতিকাফে থাকতেন তখন (প্রাকৃতিক) প্রয়োজন ব্যতীত ঘরে প্রবেশ করতেন না।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০২৯]
জুমআ আবশ্যকীয় প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই জুমআর নামাযের জন্য অন্য মসজিদে যাওয়া যাবে। তবে এতটুকু সময় নিয়ে যাবে যেন জুমআর আগে চার রাকাত সুন্নতসহ পুরো নামায ও নামাযের পর সুন্নত আদায় করতে পারে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم