প্রশ্ন
কুরআন মাজিদ বিক্রি করা কি বৈধ? কারো কারো ধারণা হল, কুরআন হাদিয়া দিতে হবে। বিক্রি করা যাবে না। এ ব্যাপারে শরয়ি নির্দেশনা কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কুরআন মাজিদ বিক্রি করা বৈধ। ফুকাহায়ে কেরাম নিম্নোক্ত হাদিস দ্বারা কুরআন মাজিদ বিক্রি করাকে হালাল সাব্যস্ত করেছেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত যে, রাসূল(সা.)-এর সাহাবীদের কতক সাহাবী আরবের এক গোত্রের নিকট আসলেন। গোত্রের লোকেরা তাদের কোন আতিথেয়তা করল না। তাঁরা সেখানে থাকতেই হঠাৎ সেই গোত্রের নেতাকে সর্প দংশন করল। তখন তারা এসে বলল: আপনাদের কাছে কি কোনো অষুধ আছে কিংবা আপনাদের মধ্যে ঝাড়ফুঁককারী লোক আছেন কি? তাঁরা উত্তর দিলেন: হাঁ। তবে তোমরা আমাদের কোনো আতিথেয়তা করনি। কাজেই আমাদের জন্য কোনো পারিশ্রমিক নির্দিষ্ট না করা পর্যন্ত আমরা তা করব না। ফলে তারা তাদের জন্য এক পাল বকরি পারিশ্রমিক দিতে রাজী হলো।
তখন একজন সাহাবী উম্মুল কুরআন (সূরা ফাতিহা) পড়তে লাগলেন এবং মুখে থুথু জমা করে সে ব্যক্তির গায়ে ছিটিয়ে দিলেন। ফলে সে রোগমুক্ত হলো। এরপর তাঁরা বকরিগুলো নিয়ে এসে বলল, আমরা রাসূল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করার পূর্বে এটি স্পর্শ করব না। এরপর তাঁরা এ বিষয়ে রাসূল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন। রাসূল (সা.) শুনে হেসে দিলেন এবং বললেন: তোমরা কীভাবে জানলে যে, এটি রোগ সারায়? ঠিক আছে বকরিগুলো নিয়ে যাও এবং তাতে আমার জন্যও এক ভাগ রেখে দিও।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৭৩৬]
সুতরাং শরিয়তের দৃষ্টিতে কুরআন মাজিদ ক্রয় বিক্রয় উভয়ই জায়েয। পাশাপাশি তা থেকে প্রাপ্ত উপার্জনও হালাল হবে।
মিরকাতুল মাফাতিহ ৫/১৯৯২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم